Saturday, 22 November, 2025

সাত জেলায় মুরগীর খামারে ভয়াবহ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার


দেশের বাণিজ্যিক মুরগির খামারগুলোতে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের alarming চিত্র উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদন জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

গবেষণার মূল ফলাফল

বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর), আইসিডিডিআর,বি এবং অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই গবেষণাটি দেশের সাতটি জেলার ৩৪০টি বাণিজ্যিক মুরগির খামারে করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসব খামারের ৯৩.২ শতাংশে মুরগির উৎপাদন চক্রে অন্তত একবার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
নবান্ন উৎসব ঘিরে বগুড়ার বাজারে নতুন আলু, দাম চড়া ৫০০ টাকা কেজি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে বগুড়ার বাজারগুলোতে উঠেছে নতুন আলু। উৎসবের আমেজে এই আলুর চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে Read more

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: সময়সূচি প্রকাশ

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষার তারিখ: ২০২৬ সালের Read more

গবেষণায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ধরনের খামারের মধ্যে:

  • ১০৯টি ব্রয়লার খামারের ৭৮% অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেছে।
  • ১২২টি সোনালি মুরগির খামারের ৬৭.২% অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেছে।
  • ১০৯টি ডিম পাড়া লেয়ার খামারের ৪১.৩% অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করেছে।

এছাড়াও, জরিপের ১৪ দিন আগে প্রায় ৬৭% খামারি তাদের মুরগিকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছেন।

কেন এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশুপালনে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বা জীবাণুনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এর ফলে সাধারণ সংক্রমণও ভবিষ্যতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে। এই জীবাণুনাশক প্রতিরোধ ক্ষমতা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের জন্যই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

মুরগির মাংসে ওষুধের অবশিষ্টাংশ থেকে শুরু করে এই ধরনের জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিপদে ফেলবে। তাই, খামারিদের এই বিষয়ে সচেতন করা এবং তাদের অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক জ্ঞান ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সঠিক প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা বাড়াতে পারলে প্রাণী, মানুষ এবং পরিবেশ—সবাইকে সুস্থ রাখা সম্ভব।

0 comments on “সাত জেলায় মুরগীর খামারে ভয়াবহ এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ