একটি উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ থানকুনি। সাধারণত গ্রামে বাড়ির আশেপাশে, পুকুর পাড় বা মাঠের স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় দেশি থানকুনি পাওয়া যায়। তবে চাইলে সহজেই টবে থানকুনি চাষ করা যায়। তাই আজ আমরা জানার চেষ্টা করব কিভাবে সহজেই টবে থানকুনি চাষ করা যায়!
বিভিন্ন ভাবে থানকুনি পাতা খাওয়া যায়। তবে এই পাতার রসই খুব বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। তবে এটিকে ভর্তা করে খাওয়া যায়, শাক হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে। যেভাবেই গ্রহণ করা হোক থানকুনি পাতার চমৎকার কিছু ঔষধী গুণ রয়েছে। বিভিন্ন রকম খনিজ উপাদান ও ভিটামিন রয়েছে থানকুনি পাতায়। অনেকে সহজেই টবে থানকুনি চাষ করেন বাসার ছাদে বা বারান্দায়।
সাধারণত এই রসের ব্যবহার হয় জ্বর, পেটের অসুখ, আমাশয় সারাতে।
একই সাথে এটি হজমশক্তি বাড়াতে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
এর উপকার আছে খুশখুশে কাশি, মুখের ঘা, হাঁপানিতেও।
সহজেই টবে থানকুনি পাতার চাষ পদ্ধতি
কি ধরনের মাটি ব্যবহার করবেন
বিশেষ কোনও মাটির প্রয়োজন থানকুনি চাষের জন্য হয় না।
তবে যেকোন ফসলের জন্য দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ কিংবা কোকোপিট মেশানো মাটি থানকুনির জন্য খুবই ভালো।
টবের আকার কেমন হবে
ছোট, মাঝারি বা বড় যে কোনও আকারের টব বাছাই করা যেতে পারে থানকুনি চাষের জন্য।
টবের নিচের দিকে যেন পানি জমে না থাকে তার জন্য ২-৩ টি ছিদ্র করে দিতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে থানকুনি পাতা জলাবদ্ধতা খুব একটা সহ্য করতে পারে না।
কখন লাগাবেন
বছরের সবসময়ই থানকুনি পাতা পাওয়া যায়।
আর সে কারণে বছরের যে কোনও সময়েই থানকুনির বীজ বা শেকড় টবে লাগানো যেতে পারে।
কিভাবে চারা বা বীজ বপন করবেন
বীজ থেকেও থানকুনি গাছ তৈরি হতে পারে।
আবার শিকড়সহ লতা লাগালেও সহজেই গাছ বড় পাওয়া যায়।
টবে প্রয়োজনীয় পরিমাণমতো মাটি দিয়ে তাতে চারা বা বীজ বপন করতে হবে।
তবে এতে খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না এবং খেয়াল রাখতে হবে পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে।
কিভাবে পরিচর্যা করবেন
গাছে নিয়মিত ভাবে সূর্যের আলো পড়তে হবে।
তাই নিয়মিত সূর্যের আলো যেখানে পড়ে সেখানে গাছ রাখতে হবে।
মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈবসার প্রয়োগ করতে হবে।
টবের বেলায় এক মুঠো জৈবসার বা ভারমি কম্পোস্ট ছড়িয়ে দিতে হবে।
তবে যদি মাটি খুঁড়ে মিশিয়ে দেয়া হয় তাহলেও হবে।
সময়মতো থানকুনির পাতা আহরণ করা যাবে।
তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে টবে যেন কোন প্রকার আগাছা না জন্মায়।
গাছ যদি ঘন হয়ে যায় তাহলে তা ছেঁটে দিতে হবে।
থানকুনির চাষ সারা বছরই করা গেলেও বীজ সংগ্রহের জন্য গ্রীষ্মকাল অত্যন্ত উত্তম সময়।