আম বা লিচু বাগানে কিংবা ছাদ বাগানে আম ও লিচু গাছের বয়স ২ বছর হয়ে গেছে, তারা আগামী মৌসুমে ফলের আশা করতেই পারেন। শীতের শেষ থেকে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করবে। কিন্তু, ভালো ফলনের জন্য এখন থেকেই নিতে হবে বাড়তি পরিচর্যা।
চলুন জেনে নেই ভালো ফলনের জন্য শীতের শেষে আম ও লিচু গাছের পরিচর্যা নিয়ে-
প্রথমে ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস(কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।
কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক স্প্রে করার ২ বা ৩ দিন পরে বিকেলে ১ লিটার পানিতে ১ মিলি মিরাকুলান/প্রটোজিম/ফ্লোরা, ১ গ্রাম সলুবোরন ও ১ গ্রাম চিলেটেড জিংক মিশিয়ে স্প্রে করবেন। ১৫ দিন পরে একই নিয়মে আবারো স্প্রে করবেন, তাহলে মুকুল আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।
শীতের শেষের দিকে মুকুল আসা শুরু করবে আম ও লিচু গাছে
মুকুল আসলে কিন্তু ফোটার আগেই ১ লিটার পানিতে ১ মিলি মিরাকুলান/প্রটোজিম/ফ্লোরা, ১ গ্রাম সলুবোরন ও ১ গ্রাম চিলেটেড জিংক মিশিয়ে স্প্রে করবেন। এটি পরাগায়নে সাহায্য করবে।
এর ২/৩ দিন পর ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস(কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।। এই স্প্রে না করলে হপার পোকা মুকুলের রস শুষে খেয়ে ফেলবে।
বিঃ দ্রঃ মুকুল ফুটে গেলে কোন কিছু স্প্রে করা যাবে না, তাহলে পরাগায়ন হবে না।
ফল গুটি অবস্থা হলে আবার ১ লিটার পানিতে ২ মিলি সাইপারমেথ্রিন/ক্লোরোপাইরিফস (কীটনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ রিপকর্ড/এসিমিক্স/রিলোড/নাইট্রো ও ২ গ্রাম ম্যানকোজেব/কার্বেন্ডাজিম(ছত্রাকনাশক) গ্রুপের ঔষধ যেমনঃ ডাইথেন এম-৪৫/অটোস্টিন/রিডোমিল গোল্ড/ কমপ্যানিয়ন/ ম্যানসার/ মিশিয়ে স্প্রে করবেন।। এই স্প্রে না করলে ফল গুটি অবস্থায় ঝড়ে যাবে৷
উপরোক্ত নিয়ম অনুসরণ করে জামুরুল, কমলা, মাল্টা, লেবু, সফেদা, শরিফা, কামরাঙ্গা,পেয়ারা ইত্যাদি ফল গাছেও বেশি পরিমানে ফুল ও ফল ধরানো সম্ভব।