আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় শাক-সবজি থাকা বিশেষভাবে বাঞ্চনীয়। সেক্ষেত্রে লাল শাক আমাদের শরীরের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ।এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণত শীতকাল এ ছাড়া লাল শাক এর খুব প্রচলন বা দেখা যায় না। কিন্তু বাড়িতেই বারান্দায় বা ছাদে লাল শাক চাষ করলে সারাবছরই তা পেতে পারেন সহজে।লাল শাক মানবদেহে ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন প্রকার ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে লাল শাক। ক্যান্সার দূর করতে বা রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে লাল শাক।
কোথায় লালশাক চাষ করবেন-
প্রচুর আলো বাতাস যুক্ত বারান্দার বা ছাদের একটি স্থান বেছে নিতে হবে । কিন্তু ছায়াযুক্ত স্থানেও লালশাক হবে,কেবল উচ্চতা কম হতে পারে।
কি ধরনের টব লাগবে-
লাল শাক চাষের জন্য মাঝারি সাইজের মাটির বা প্লাস্টিক টব ব্যবহার করা ভাল। তবে কাঠের কনটেইনার বা প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন।
কিভাবে মাটি প্রস্তুত করবেন-
লাল শাকের চাষ প্রায় সব ধরনের মাটিতেই করা যায়। তবে লাল শাক চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি । মাটি তৈরির সময় এক ভাগ মাটি ও এক ভাগ জৈব সার নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। কিন্তু মাটি খুব শুকনো হলে একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে মেশাতে পারেন।
কোন বীজ নিবেন-
শীতের শুরুতে লাল শাকের ফলন বেশি হলেও সারাবছর চাষ করা যায়। পিংক কুইন, রক্ত জবা, আলতা পেটি, রক্ত রাংগা, আর বারি ১ এর বীজ উত্তম।
কিভাবে যত্ন নিবেন-
যদি প্লাস্টিকের কন্টেইনার ব্যবহার করা হয় তাহলে অতিরিক্ত পানি বের করার জন্য আগেই তাতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে হবে। বীজ গজালে তার এক সপ্তাহ পর প্রত্যেক সারিতে ৫ সে.মি. পর পর গাছ রেখে দিয়ে, বাকি গুলো উপড়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত আগাছামুক্ত করতে হবে। মাটি মাঝে মাঝে ভেঙ্গে দিতে হবে। প্রয়োজন বুঝে পানি দিতে হবে।
বীজ রোপনের পরে প্রতিদিন ১ বেলা করে পানি দিতে হবে, তবে মাটি ভেজা থাকলে দরকার নেই। ১ সপ্তাহ পর চারা বের হবে। যদি নতুন পাতা বের হয় তাহলে নেট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যেন পাখি পাতা না খেয়ে ফেলে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।
কখন লাল শাক তুলবেন-
বীজ বপনের ২০-৪০ দিন পরেই শাক তুলে খাওয়া যায়।