Friday, 31 October, 2025

লাভের মুখ দেখবেন সাতক্ষীরা জেলার মাছ চাষিরা


লাভের মুখ দেখবেন সাতক্ষীরা জেলার চাষিরা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরা বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। এ জেলার রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি খাত থেকে। সত্তরের দশক থেকে চিংড়ি সম্পদ সাতক্ষীরাবাসীর আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। মাছের জেলা হিসেবে খ্যাত সাতক্ষীরা। এ জেলায় গলদা ও বাগদা চিংড়ি থেকে শুরু করে ভেটকি, পারশে, টেংরা, রুই ও কার্প জাতীয়সহ আরও অনেক মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে সাদা পানির মাছ বলা হয় এসব মাছকে। এবছর জেলার চাষিরা লাভের মুখ দেখবেন, কাটিয়ে উঠবেন ক্ষতি।

ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশা করছেন কৃষকরা

এমন কোনো মাছ নেই যা এ জেলায় পাওয়া যায় না।

আরো পড়ুন
সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

হালদা নদী রক্ষায় বড় পদক্ষেপ: পরিবর্তন আসছে গেজেটে, বন্ধ হবে তামাক চাষ ও দূষণ
হালদা নদী, গেজেট পরিবর্তন, তামাক চাষ বন্ধ

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Read more

এ অঞ্চলের খাল-বিল, নদী-নালা, হাওড়-বাওড় এমনকি প্লাবন-ভূমিতেও হয় মাছের চাষ।

করোনার প্রভাবে গত দুই বছর সাতক্ষীরার মাছ চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে চলতি বছর উৎপাদনের পাশাপাশি মাছের দামও বেশি।

তাই ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সাতক্ষীরায় মাছের ঘের রয়েছে ৬৬ হাজার।

আয়তনে এর পরিমাণ ১০ লাখ ৭২ হাজার বিঘা।

আর জেলায় মাছ চাষি রয়েছে প্রায় ৮০ হাজার।

এ জেলায় গত বছর ৭০ হাজার মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদন হয়েছিল।

আর এই বছর সাদা মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

জেলার বৃহৎ মৎস্য বাজার বিনেরপোতা বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ মন্ডল।

তিনি বলেন, এ বছর মাছের বাজার স্বাভাবিক রয়েছে সেই সাথে দামও বেশি।

গত দুই বছরের তুলনায় প্রতি কেজিতে তারা ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম পাচ্ছেন।

মাছ চাষি ইব্রাহিম খলিল জানান, রুই কাতলা থেকে শুরু করে চিংড়ি মাছের দামও ভালো পাচ্ছেন তারা।

আর অবস্থা এই রকম থাকলে এবং মাছের দাম শেষ পর্যন্ত থাকলে গত দুই বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখবেন তারা।

প্লাবন ভূমিতে দুই বছর ধরে কয়েকজন ব্যবসায়ী মাছ চাষ করছেন।

তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, সদরের কয়েকটি প্লাবন ভূমি রয়েছে যেখানে মাছ চাষে প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

পাশাপাশি এই ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে লাখ লাখ টাকা লাভের মুখ দেখছেন।

জেলা মৎস্য অফিসার আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, তারা সবসময় চাষিদের পাশে রয়েছেন।

তারা আশা করেন, চলতি অর্থ বছরে গত দুই বছরের করোনাকালীন ক্ষতি কাটিয়ে উঠবেন মাছ উৎপাদন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্টরা ।

0 comments on “লাভের মুখ দেখবেন সাতক্ষীরা জেলার মাছ চাষিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ