রুইজাতীয় মাছের সাথে মলা-পুঁটির মিশ্র চাষ করতে হলে উপযুক্ত পুকুর নির্বাচন করা জরুরী। সেইসাথে পুকুর প্রস্তুতি, পোনা মজুদ, খাদ্য ও সার প্রয়োগ এবং মাছ আহরণ সঠিকভাবে করলে মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষে চাষীরা লাভবান হতে পারবেন।
নিচে মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১. পুকুর/মৌসুমী জলাশয় নির্বাচন:
পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে এমন পুকুর নির্বাচন করা উচিত।
পুকুর/জলাশয় বন্যামুক্ত এবং মাঝারী আকারের হলে ভালো হয়।
দো-আঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটির পুকুর ভালো।
পানির গভরীতা ১-১.৫ মিটার হলে ভালো হয়।
২. জলাধারের প্রস্তুতি:
পাড় মেরামত ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
রাক্ষুসে ও ক্ষতিকর প্রাণী অপসারণ করতে হবে।
শতাংশে ১ কেজি করে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুন প্রয়োগের ৭-৮ দিন পর শতাংশ প্রতি ৫-৭ কেজি গোবর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি সার দিতে হবে।
৩. পোনা মজুদ, খাদ্য ও সার প্রয়োগ:
শতাংশ প্রতি ১০-১৫ সে. মি. আকারের ৩০-৩২ টি র্বই জাতীয পোনা এবং ৫-৬ সে. মি. আকারের ৬০ টি মলা ও ৬০ টি পুটি মাছ মজুদ করা যায়।
মাছের পোনা মজুদের পরদিন থেকে পোনার দেহের ওজনের শতকরা ৫-১০ ভাগ হারে সম্পুরক খাবার হিসেবে খৈল, কুড়া, ভূষি দেয়া যেতে পারে।
গ্রাস কার্পের জন্য কলাপাতা, বাধা কপির পাতা, নেপিয়ার বা অন্যান্য নরম ঘাস দেয়া যেতে পারে।
মলা-পুঁটি মাছের জন্য বাড়তি খাবার দরকার নাই।
প্রাকৃতিক খাবার জন্মানোর জন্য পোনা ছাড়ার ১০ দিন পর শতাংশ প্রতি ৪-৬ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।
৪. মাছ আহরণ:
পোনা মজুদের ২ মাস পর হতে ১৫ দিন পর পর বেড় জাল দিয়ে মলা-পুঁটি মাছ আংশিক আহরণ করতে হবে।
৭৫০-৮০০ গ্রাম থেকে বেশী ওজনের কাতল ও সিলভার কার্প মাছ আহরণ করে সমসংখ্যক ১০-১২ সে. মি. আকারের পোনা পুনরায় মজুদ করতে হবে।
বছর শেষে চূড়ান্ত আহরণ করা যেতে পারে।
বিস্তারিত আরো ও পড়ুন- ক্লিক করুন