Saturday, 01 November, 2025

পেঁপের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবিত করেছেন বশেমুরকৃবি অধ্যাপক


লাল ও হলুদ পেঁপের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) । পেঁপের এই জাত উদ্ভাবন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী।

আইভী  জানান, ফলন ও পুষ্টিমান বেশি হতে হবে। এরকম একটা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পাঁচ বছর গবেষণা করেছেন। তার গবেষণার ফল হিসেবে পেঁপের দেশীয় এ জাত উদ্ভাবন করেন তিনি।

নতুন উদ্ভাবিত জাত এর ফলন ও মান বেশি

আরো পড়ুন
সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়লো: ৫০ প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন সুযোগ
রপ্তানিযোগ্য সুগন্ধি চাল

রপ্তানির সময়সীমা শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর অবশেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুগন্ধি চাল রপ্তানির সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত সোমবার Read more

হালদা নদী রক্ষায় বড় পদক্ষেপ: পরিবর্তন আসছে গেজেটে, বন্ধ হবে তামাক চাষ ও দূষণ
হালদা নদী, গেজেট পরিবর্তন, তামাক চাষ বন্ধ

দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার Read more

নতুন উদ্ভাবিত পেঁপের জাত দুইটি গাইনাডোইওসিয়াস প্রকৃতির। গাছ থাকবে স্ত্রী ও উভয়লিঙ্গ বিশিষ্ট। এতে প্রতিটি গাছেই ফল ধরবে। এক একটি গাছে ৫০-৬০টি ফল হয়। নাশপাতির আকারের মতো স্ত্রী গাছের ফলের আকার। আর এই ফলের গায়ে রয়েছে লম্বালম্বি দাগ। হেক্টর প্রতি ৬০-৭০ টন ফলন হয়। এ ধরণের পেঁপের জাতের পেপেইন নিঃসরণ হয় বেশি। পাকা ফল বেশি মিষ্টি হয়। পাকা ফলের ভেতরের রং একটিতে গাঢ় হলুদ থেকে গাঢ় কমলা, অপরটির ভেতরে লাল রং।

অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ থাকে পাকা পেঁপেতে। এছাড়া পেপেইন এক প্রকার হজমকারী দ্রব্য, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী। সবজি হিসেবেও কাঁচা পেঁপে খাওয়া যায়।

জানুয়ারি মাসে বীজ বপন করা হয়, মার্চে উৎপাদিত চারা রোপণের উত্তম সময়। ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ফল ধরে এ জাতের গাছের। তাছাড়া এ জাতের পেঁপেতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণ পেপে থেকে অনেক বেশি বলে জানান গবেষক।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষের ক্ষেত্রে পর-পরাগায়িত বীজ ব্যবহার করেন। সাধারণ পেঁপের বীজ থেকে যেসব চারা উৎপাদিত হয় তার ৫০ ভাগই পুরুষ গাছ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এটা থেকে কোনো ফল পাওয়া যায় না। সেকারণে অধিক ফলবান গাছ পাওয়ার আশায় পেঁপে চাষিরা এক্ষেত্রে প্রতি মাদায় ৩-৪টি চারা একত্রে রোপণ করে থাকেন। যখন ফুল আসে তখন পুরুষ গাছ কেটে বাদ দেওয়া হয়। জমিতে রাখা হয় শুধু স্ত্রী ও উভয় লিঙ্গের গাছ। পুরুষ গাছ মটি থেকে পুষ্টি ও সার গ্রহণ করার ফলে অন্য গাছগুলোতে সার-পুষ্টির ঘাটতি দেখা যায়। এতে একদিকে ফলন  অনেক কমে যায়। অন্যদিকে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়ার সাথে কথা হয়। তিনি জানান, ইতোমধ্যে কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে দুিইটি পেপে জাত ছাড় করা হয়েছে। এগুলা বিইউ পেঁপে-১ ও বিইউ পেঁপে-২ নামে ছাড় করা হয়েছে।

0 comments on “পেঁপের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবিত করেছেন বশেমুরকৃবি অধ্যাপক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ