Saturday, 23 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

‘পলি হাউস’ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারায় আগাম সবজির চাষ


হাসান এর ভাষ্যমতে, পলি হাউসের ভেতরে মাচার ওপর প্লাস্টিক ট্রে এবং কাপে চারা রাখা হয়।

নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়া প্রক্রিয়াজাত করে নিতে হয়।

এর পর জৈব সার বা কেঁচো সার মিশিয়ে দিয়ে তাতে বীজ বপন করা হয়।

এতে কোনো ধরনের মাটি ব্যবহার করা হয় না সাধারণভাবে।

বীজ বপন থেকে চারা রোপণ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে।

এই চারা আবার হিলিং চেম্বারে এক সপ্তাহ রাখা হয়।

তার পরে পলি হাউসে আনা হয়।

বর্তমানে খামারে উৎপাদিত হয় টমেটো, বেগুন, মরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শসা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, পেঁপে, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, জালি কুমড়া, চিচিঙ্গা, করলা, ঝিঙে, তরমুজ ইত্যাদির চারা।

নার্সারিতে প্রতিটি চারা দেড় টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়, পেঁপেঁর চারা ব্যতিরেকে।

পেঁপের চারার দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা করে।

তার উৎপাদিত চারা থেকে ৫০ থেকে ৬০ কেজি পেঁপে পাওয়া যায়।

প্রতিষ্ঠান নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন উদ্যোক্তা

গ্রিন হিল সিডলিং ফার্মে এখন স্বল্প পরিসরে অবকাঠামো আছে।

এই স্বল্প পরিসরে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ চারা উৎপাদন সম্ভব।

তবে হাসান নার্সারিটিকে আরও বড় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

আরেকটি পলি হাউস এখানেই বলে তিনি অভিলাষ প্রকাশ করেন।

বিভিন্ন জাতের সবজির প্রদর্শনী পাশে করা হবে ।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাঘবেড় এলাকায় খামারে আরেকটি শাখা চালু করছেন তিনি।

এটা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ বলে জানান হাসান।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন।

তিনি বলেন, হাসানের নার্সারিটি একটি চমৎকার উদ্যোগ।

সবজি চাষিরা বাড়ির কাছে সহজে উচ্চফলনশীল ও মানসম্মত চারা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।

0 comments on “‘পলি হাউস’ পদ্ধতিতে উৎপাদন করা চারায় আগাম সবজির চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *