পরীক্ষামূলকভাবে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার করবে সরকার। দেশের ২৫০টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে এই অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষামূলকভাবে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ব্যবহার এর মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এ জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন নিতে।
১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময়সীমা
সম্প্রতি খাদ্য অধিদপ্তর থেকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠি পাঠানো হয়েছে ঢাকা, খুলনা, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে।
এই চিঠিতে জানানো হয় যে, আসন্ন আমন, ২০২১-২২ মৌসুমে দেশব্যাপী ২৫০টি নির্বাচিত উপজেলায় পাইলট আকারে অ্যাপ ব্যবহার হবে।
‘কৃষকের অ্যাপ’ বাস্তবায়ন করার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রয়ের আবেদন গ্রহণের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকদের অবহিত করতে হবে
‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রয়ের আবেদন ও নিবন্ধন করার বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করতে হবে।
নিবন্ধনের সময়সীমা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে বহুল প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।
চিঠিতে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন মাঠ পর্যায়ে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।
নির্দেশনা সমূহ
১. নির্বাচিত উপজেলায় ধান ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে ‘কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে।
২. প্রশিক্ষণ সিডিউল অনুযায়ী ভার্চুয়াল কর্মশালায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্ট সব ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ খাদ্য অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট মনোনীত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জুমের মাধ্যমে।
৩. খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবেসাইটের নিচের অংশে সংযোজিত রয়েছে ‘ফটো এবং ভিডিও বক্স’। সেখান থেকে ‘গাইড লাইন কৃষকের অ্যাপ’ থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল ডাউনলোড করে অ্যাপ ব্যবহার সম্পর্কে ইউএনও/উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করতে হবে।
৪. কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুতকৃত লিফলেট ও তৈরিকৃত অডিও প্রচার করতে হবে। এগুলো মাইকিংয়ের মাধ্যমে এবং টিভিসি বা ভিডিও সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রচার করতে হবে ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
৫. প্রস্তুতকৃত পোস্টার উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেটে দিতে হবে। এমন স্থানে সেঁটে দিতে হবে যা সেখানকার সংযোগ স্থান, বাজার, মসজিদের প্রধান ফটকের বিপরীতে এবং দৃষ্টিগোচর হয়।
৬. প্রস্তুতকৃত লিফলেট বিতরণ করতে হবে জনসমাগম হয় এমন স্থানে, যেমন- মসজিদ, স্থানীয় বাজারের দিন, চায়ের দোকানে।
৭. প্রস্তুতকৃত লিফলেট পৌঁছে দিতে হবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছে।
৮. প্রস্তুতকৃত লিফলেট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বিতরণ করতে হবে।
৯. জনসমাগম স্থানে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা করতে হবে কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের জন্য তৈরিকৃত অডিও।
১০. জেলা/উপজেলার ওয়েব পোর্টালে প্রস্তুতকৃত লিফলেট প্রকাশ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে হবে পোস্টার/লিফলেট প্রকাশ করে।
১২. সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার, মহিলা মেম্বার, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সভা করে অবহিত করতে হবে।
১৩. কৃষক নিবন্ধন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তার মাধ্যমে উৎসাহিত করতে হবে।