Friday, 18 July, 2025

সর্বাধিক পঠিত

নদী তীরবর্তী আকস্মিক ভাঙন, তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি-স্থাপনা


বন্যায় নদী ভাঙন

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকার সুগন্ধা নদী। নদী তীরবর্তী আকস্মিক ভাঙন হবার কারণে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে তিনটি বসতঘর, একটি মসজিদ, ঈদগাহসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা। অর্ধশতাধিক বসতঘরসহ অন্য অনেক স্থাপনা ভাঙনের হুমকিতে আছে। এ অবস্থায় অনেকেই ভাঙন–আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন, গাছপালা কেটে ফেলছেন।

এদিকে পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকা।

এতে এলাকার ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়হুমকিতে রয়েছে।

গত রোববার সকালে দেবে যায় বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের একটি এলাকা।

আরো পড়ুন
অসময়ে তরমুজ চাষে সুবর্ণচরের আবুল বাসারের বাজিমাত!

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক মো. আবুল বাসার। বর্ষাকালে সফলভাবে তরমুজ উৎপাদন করে Read more

বন্যা পরবর্তী মাছ চাষিদের করণীয়

বন্যা মাছ চাষিদের জন্য একটি মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর মাছ চাষে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে Read more

অল্প সময়ের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায় তিনটি বসতঘর, পশ্চিম ক্ষুদ্রকাঠী জামে মসজিদ এবং শত বছরের পুরোনো ঈদগাহ মাঠটি।

রোববার বিকেলে গিয়ে ভাঙনের হুমকিতে থাকা বাসিন্দাদের বাড়িঘরের মালামালসহ ঘর সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে দেখা যায়। 

স্থানীয় বাসিন্দা মানিক মৃধা, সেলিম হাওলাদার ও শাহ আলম হাওলাদারের সঙ্গে কথা হয়। 

তারা জানায়, নদী থেকে বালু উত্তোলন ও ইটভাটায় মাটি কেটে নেওয়া এবং পরিকল্পিত নদীশাসন হয়নি।

যার কারণে নদীভাঙন থামছে না।

এ পর্যন্ত ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর মীরগঞ্জ এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদীর তীব্র ভাঙন দেখা দেয়।

দেড় ঘণ্টার মধ্যে বিলীন হয় সাতটি বসতঘর, একটি মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা।

গত ২৭ আগস্ট আকস্মিক সুগন্ধা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের একমাত্র পাকা সড়কটির একটি বড় অংশ।

সড়কের প্রায় ৫৪৫ মিটার নদীতে চলে যায়।

রোগী ও তাদের স্বজনেরা সড়ক বিলীন হয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরিশাল কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ।

তিনি বলেন, ভাঙন রোধে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪০ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছিল গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে।

বর্তমানে একটি বড় প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে উপজেলার মীরগঞ্জ, বরিশাল বিমানবন্দরের উত্তর অংশ ও বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের গ্রামের বাড়ির এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা করতে।

তিনি আশা করেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সেটি মন্ত্রণালয়ে জমা হবে।

রোববার সকালে ভাঙন শুরু হয় ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ছবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী এলাকায়।

পাউবোর ফরিদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা।

তিনি বলেন, পদ্মা নদীর গভীরতা বেশি ছবুল্লা সিকদারের ডাঙ্গী এলাকায়।

বালুর বস্তা ফেলে সেখানে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।

পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণসহ স্থায়ী কাজ হওয়ার প্রয়োজন এখানে।

0 comments on “নদী তীরবর্তী আকস্মিক ভাঙন, তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি-স্থাপনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ