কাচা মরিচে যেন ঝাল হঠা্ৎই বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারগুলোতে যেখানে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রয় হতো, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণে বেড়েছে প্রায় চার হাজার টাকা ! মানে দুই সপ্তাহে নওগাঁয় মরিচের দাম বেড়েছে তিনগুণ ! পাশাপাশি দাম বেড়ে গিয়েছে অন্যান্য শাক-সবজির।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলা যেমন- মহাদেবপুর,বদলগাছি এবং আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মরিচের ব্যপক চাষ হয়েছে। মরিচের উৎপাদন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কিন্তু হঠাৎ মরিচের এমন দাম বাড়ায় বিপাকে ক্রেতারা। দেশের নিম্নাঞ্চলের জেলাসমূহতে অতিবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জেলার মরিচচাষি ও আড়তদারদের দাবি। আর তাই জেলার মরিচের চাহিদা বেড়ে গেছে, দামও বেড়েছে কয়েক গুণ।
মহাদেবপুর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ডাক্তারের মোড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। মধ্যস্বত্বভোগী এই ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন বড় বড় পাইকারি বাজারে নিয়ে যান।
বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মরিচসহ বিভিন্ন সবজির চাষ হয়েছে বিস্তীর্ণ বিশাল মাঠজুড়ে। মরিচের খেত চোখে পড়েছে বেশি। কৃষকরা খেত থেকে মরিচ ওঠাতে ব্যস্ত, কেউ কাঁচা মরিচ তুলে এক জায়গায় স্তূপ করছেন তো কেউ মরিচগুলো বস্তায় ভরছেন। খেতেই পাইকারদের কাছে মরিচ বিক্রি করছেন অনেকে।
লক্ষ্মীপুর ডাক্তারের মোড় বাজারের মরিচ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, চলতি মৌসুমের প্রথম দিকে মরিচের আমদানি বেশি থাকায় মরিচের দাম কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে খেতে মরিচগাছে মরিচ ধরছে কম। এছাড়া দেশের অনেক জেলায় অতি বৃষ্টিতে মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমদানি কম হওয়ায় বাজারে যেটুকু উঠছে, সেটির দাম বেশি।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা হঠাৎ মরিচের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আয়ের সঙ্গে প্রতিদিনের বাজার খরচের হিসাবের সামঞ্জস্য হচ্ছে না । নওগাঁ পৌর শহরের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের তথ্যমতে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। সাথে সাথে অন্যান্য সবজি যেমন ঢ্যাঁড়স, পটোল, করলা, বেগুন, কাঁকরোল, মিষ্টিকুমড়া ইত্যাদির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত।