প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম। কারন হিসাবে অনেকে দেখছেন বন্যা পরিস্থিতিকে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা।
কাঁচামরিচের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শাক। বাজারে শাকের আঁটির সর্বনিম্ন মূল্য এখন ২০ টাকা।
বিভিন্ন বাজারে লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাকের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আর লাল শাক, সবুজ শাক ও কলমি শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
মরিচের এমন চড়া দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী একজন বলেন, ‘বন্যা আর বৃষ্টিতে সব শেষ। এরপরও কিছু কাঁচামরিচ পাওয়া যাচ্ছে, এই ভালো। বাজারে কাঁচামরিচের যে সরবরাহ, তাতে কেজি ৩০০ টাকা হলেও আশ্চর্যের কিছু নেই।’
আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি, বাজার ও মানভেদে পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। গাজরের কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। করলা (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। তবে বড় করলা ৭০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা। পাশাপাশি চিচিংগা ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, পটোল ও ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুরমুখি ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঝিঙা। লাউয়ের পিস ৬০-৭০ টাকা, চালকুমড়োর জালির পিস ৪০-৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০-৪৫ টাকা এবং কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা।
এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও ডিম। এক কেজি আলুর জন্য ৩৫-৩৭ টাকা আর এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা।