টমেটো আমাদের দেশে সারাবছর পাওয়া যায়। যদিও এটি মূলত একটি শীতকালীন সবজি। এখন এটি বাণিজ্যিক ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাষ হচ্ছে। তবে টমেটো চাষিরা এর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি রোগ নিয়ে বেশ ভোগায়। ফলে তারা তাদের প্রত্যাশিত ফসল ঘরে তুলতে পারেন না। তাই টমেটো চাষে রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেকারণে টমেটো চাষে রোগ সংক্রমণ এর প্রতিরোধের উপায় জানতে হবে।
না জানার কারণে প্রতিকার করতে পারেন না অনেক কৃষক
টমেটোর ফলন অনেকটাই ব্যাহত হতে পারে বিভিন্ন রোগের জন্য।
অনেক ক্ষেত্রে চাষিরা রোগ চিহ্নিত করতেও পারেন।
কিন্তু তারা নির্মূল করার উপায় জানেন না বলে কোন সুফল পান না।
কোন রোগে কী সার প্রয়োগ করতে হয় সে সম্পর্কে অনেকেরই বিজ্ঞানসম্মত ধারণা নেই।
এতে ফলন ভালো হলেও বেশির ভাগ টমেটোর গুণগত মান ভালো হয় না।
যার দরুন সঠিক দামও পাওয়া যায় না টমেটোর।
টমেটোর প্রধান রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে কৃষি বিভাগ চাষিদের জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
তাদের ভাষ্যমতে উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করলে অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব হবে এসব রোগ।
টমেটোর প্রধান প্রধান রোগ সমূহের মধ্যে জলদিধসা বা নাবিধসা, ব্যাকটেরিয়াজনিত ঢলে পড়া, ভাইরাস বা ফুটে রোগ, ছত্রাকজনিত ঢলে পড়া, পেছনে কালো দাগ, চারা ধসা বা চারা ঢলা রোগ অন্যতম।
তবে এগুলোর মধ্যে টমেটোতে নাবিধসা রোগই দেখা যায় বেশি।
টমেটো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ঢলে পড়ে যায়।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে সবজি বাঁচাতে সুসংহত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
এর জন্য শস্য পর্যায় অনুসরণ করা উচিত।
সেই সাথে জৈবসার প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
প্রতি বিঘায় ব্যবহার করা যেতে পারে ৬০ থেকে ৮০ কেজি নিমখোল।
এছাড়া রোগাক্রান্ত জমিতে ধঞ্চে জাতীয় ফসলের চাষ করতে হবে।
ভাইরাস বা ফুটে রোগ টমেটোর অন্যতম রোগ।
সাধারণত সাদা মাছির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়।
বাহক এ মাছিগুলো দমন করাই এর প্রধান প্রতিকার।
এছাড়া সাড়ে সাত লিটার পানিতে কীটনাশক মেসনইমিডা কোপ্রিড এক মিলিমিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এর প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে বীজতলা থেকেই।
প্রায়শই এটা লক্ষণীয় যে উন্নত জাতের টমেটোর পেছন দিকে কালো কালো দাগ রয়েছে।
নোনা মাটি, বেশি ভেজা বা বেশি শুকনো মাটি ও ক্যালসিয়ামের অভাবযুক্ত মাটিতে এ রোগটি হয়।
এর প্রতিকারে নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত পানি সেচ দিতে হবে।