
কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায় একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ১৮ লাখ টাকা মূল্যের মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার কেরনখাল ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে মাছচাষি জসিম উদ্দিন শান্ত-এর পুকুরে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গ্রামের অন্যান্য মাছ চাষিরাও চরমভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বিশাল ক্ষতি ও চাষির স্বপ্নভঙ্গ
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নওয়াবগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন কয়েক বছর আগে জমি কিনে ২৪ শতকের এই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। এ বছর পুকুরটিতে তিনি প্রায় ১৮ লাখ টাকার কার্প, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, গ্রাস কার্প ও পাঙ্গাশ মাছ চাষ করেছিলেন। মাত্র তিন মাস পরই আনুমানিক ২২ লাখ টাকায় মাছ বিক্রির প্রত্যাশা ছিল তাঁর।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার অভিযোগ
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিনের অভিযোগ, তাঁর পাশের জায়গার মালিক মোস্তফা কামালের স্বজন আ. হকের সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ভোরে তাঁর কর্মচারী মাছ ভেসে ওঠার খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। শত্রুতার জেরে আ. হক গং বিষ প্রয়োগ করে মাছগুলো মেরেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি চান্দিনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জসিম উদ্দিনের কর্মচারী কামাল জানান, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনার দিন বিকেলে সাইফুল, জুয়েল, সোহেল, ফারুক, ফয়সাল এসে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এমনকি গতকাল সন্ধ্যার আগে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে পুকুরের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতেও দেখেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার এবং পুলিশের বক্তব্য
তবে অভিযোগের বিষয়ে আ. হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তাঁর কোনো লোক সম্পৃক্ত নয়। তাঁর দাবি, জসিম উদ্দিনই তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ওসি জাবেদ উল ইসলাম জানিয়েছেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

