Thursday, 14 August, 2025

উৎপাদিত আমের প্রায় ২৫ ভাগ আম ই নষ্ট হয় প্রতিবছর


দেশে উৎপাদিত আমের প্রায় ২৫ ভাগ আম ই  গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর পর নষ্ট হয়ে যায়। এসব আম নষ্ট হয় মূলত পরিবহন ও সংরক্ষণের সময়ে। ক্ষীরশাপাতি আম নষ্ট হয় বেশি পরিমাণে । এদিক থেকে এর পর পর ই আসে ফজলি আমের নাম। পরিসংখ্যানিক দিক থেকে  বছরে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা সম মূল্যের আম নষ্ট হয় প্রতিবছর।

গত সোমবার রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর মিলনায়তনে এক কর্মশালায় এসকল তথ্য প্রকাশ করা হয়। হর্টেক্স ফাউন্ডেশন এই কর্মশালার আয়োজন করে। এই কর্মশালার শিরোনাম ছিল ‘আম রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমের উন্নত ব্যবস্থাপনা’ । এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। এ ছাড়া এতে অংশ নেন দেশের আম উৎপাদন, গবেষণা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

আরো পড়ুন
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫: মৎস্যসম্পদ রক্ষায় নতুন প্রতিজ্ঞা

দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষা, সম্প্রসারণ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবারও শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫। এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অভয়াশ্রম Read more

কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার ফলন, রাজস্ব আয়ে নতুন রেকর্ড

মাছ ধরার জন্য দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। আর মাত্র সাত দিনেই এই হ্রদে Read more

এই কর্মশালায় আলোচনা করা হয় যে  প্রতিবছর দেশে আমের উৎপাদন উত্তোরত্তর বৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই আম উৎপাদনের তুলনায় আম রপ্তানির পরিমাণ খুব কম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রদত্ত হিসাব অনুসারে ২০১৯-২০ সালে দেশে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়। কিন্তু এর বিপরীতে আম রপ্তানি হয়েছে মাত্র ২৮৩ মেট্রিক টন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কারণে এই বছর প্রায় ১৬২৩ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানির পরিমান গত বছরের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তার বক্তব্যে বলেন- প্রতিবছর দেশে ২৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়ে থাকে। কিন্তু সে তুলনায় আম রপ্তানি হয় মাত্র কয়েক শ টন। মন্ত্রী বলেন বছরে অন্তত ১ লাখ টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে  কাজ করতে হবে। এই লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হবে। একই সাথে রোডম্যাপ প্রণয়ন ও আমের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।

কৃষিমন্ত্রী আমের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানান। আম রপ্তানির ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে তা চিহ্নিত করে সেগুলো নিরসনে কাজ চলছে। এসব কর্মসূচি অনুসারে ইতিমধ্যে নিরাপদ আমের নিশ্চয়তা দিতে তিনটি ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। উত্তম কৃষি চর্চার জন্য ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট দেওয়ার কাজ চলছে। এ কারণে এই বছর গত বছরের তুলনায় আম রপ্তানি পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে।

0 comments on “উৎপাদিত আমের প্রায় ২৫ ভাগ আম ই নষ্ট হয় প্রতিবছর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ