Saturday, 02 August, 2025

আলুর চিপসে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে


আলু চিপস (1)

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের শ্রীকৃষ্টপুরসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ পরিবার আলুর চিপস তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে । প্রায় ২৫ বছর ধরে তারা চিপস তৈরি করে আসছেন। কাজের ফাঁকে আলুর চিপস তৈরি করে আর্থিক সচ্ছলতা আনতে ভূমিকা পালন করছেন দরিদ্র নারী-পুরুষরা।

আলু মৌসুমের তিন মাস কঠোর পরিশ্রমে তৈরি করা এসব চিপস বিক্রি হয় ঢাকাসহ সারা দেশে। শ্রীকৃষ্টপুরবাসী প্রথমে এ ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে এর প্রসার ঘটেছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে।

নারীরা সংসারের সব কাজের ফাঁকে এই ব্যবসা করে সংসারের অভাব দূর করছেন। আলুর উৎপাদন মৌসুম শুরুর পর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত তিন মাস কঠোর পরিশ্রম করে তারা শত শত টন আলুর চিপস তৈরি করেন।

আরো পড়ুন
২৫ টি বিপজ্জনক বালাইনাশকে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্যঃবাকৃবি

মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্যের উৎপাদনই এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে। অধিক ফলনের আশায় কৃষিতে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে Read more

বীজ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে এসিআই-এর অগ্রণী ভূমিকাঃ ড. এফ এইচ আনসারী

বাংলাদেশের কৃষি খাতে গত তিন দশকে অসাধারণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অগ্রগতির সাক্ষী হিসেবে আমি এই খাতের একজন কর্মী হিসেবে Read more

জেলার আক্কেলপুর উপজেলার শ্রীকৃষ্টপুরসহ সাতটি গ্রামে গিয়ে কয়েকশ পরিবারের নারী-পুরুষরা আলুর চিপস তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে।

সিদ্ধ আলু দিয়ে তৈরি করা হয় আলুর চিপসঃ

কেউ আলু সিদ্ধ করছেন, কেউ আলু কাটছেন আবার কেউ কাটা আলুর চিপসগুলো রোদে শুকানোর জন্য বস্তার ওপর বিছিয়ে দিচ্ছেন।

আর চিপস শুকানোর জন্য তারা ব্যবহার করেন নদীর পাড় ও মাঠের পরিত্যক্ত জমি। রোদে শুকিয়ে তৈরি করা হয় আলুর চিপস। যা তেলে ভেজে মুখরোচক খাবার হিসেবে বিক্রি হয়।

কঠোর পরিশ্রম হলেও চাহিদা বেশি হওয়ায় গ্রামে দিন দিন এর প্রসার ঘটে। কথা বলে জানা যায়, এক মণ চিপস তৈরি করতে পাঁচ মণ আলুর প্রয়োজন হয়।

আলুর দাম ও আনুষঙ্গিক খরচসহ এক মণ চিপস বানাতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। যা বিক্রি হয় ৪ হাজার টাকা। আর এজন্য সময় লাগে দুই দিনের মতো।

কেশবপুর গ্রামের জাবেদা বেগম বলেন, ‘হামরা গরিব মানুষ। বেশি ট্যাকা না থাকায় হামরা বেশি করি আলু কিনতে পারি না।’ বেসরকারি সংস্থা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চলছে তাদের এ ব্যবসা। সরকার যদি কিস্তিতে ঋণ দেয় তাহলে ভালোই হতো।

জয়পুরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি আহসান কবীর বিপ্লব বলেন, আক্কেলপুর উপজেলার সাতটি গ্রামে অধিকাংশ মহিলা সংসারের কাজের ফাঁকে আলুর চিপস তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা চিপস তৈরির জন্য কৃষকের কাছ থেকে বড় বড় আলু বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে কিনে থাকেন। এতে কৃষকেরাও আলুর ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। যদি কেউ আলুর চিপস তৈরির ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে চায় তাহলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

0 comments on “আলুর চিপসে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ