আমের রাজধানী হিসেবে খ্যাত কোন জেলা? এই প্রশ্নের উত্তরে সকলেই বলবে রাজশাহী । কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে আমের রাজধানী আসলে বলা হয় নওগা জেলাকে। আর এ জেলায় এবার আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা ইত্যাদি সহ প্রায় সকল উপজেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে আম চাষ। তবে চাষের ক্ষেত্রে এ্গিয়ে আছে পোরশা ও সাপাহার উপজেলা। কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, সমগ্র জেলা জুড়ে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। মোট আম উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার মেট্রিকটন। অর্থাৎ হেক্টর প্রতি গড়ে ১২ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। বাজারদরে এর আনুমানিক মূল্য হবে কম করে হলেও দেড় হাজার কোটি টাকা।
জমে উঠেছে জেলার বিভিন্ন আমের আড়ৎগুলো। আম বেচা-কেনা হচ্ছে খুব ও বিভিন্ন জাতের। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খিরসাপাতি, নাক ফজলী, আম্রপালী, হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ ইত্যাদি। তবে দেশের সর্ববৃহৎ আমের মোকাম এখন জেলার সাপাহার উপজেলা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান বেড়ে যাওয়াতে এইরকম টা হয়েছে। স্থানীয় এলাকা সহ সারাদেশের বিভিন্ন আড়ৎদার দিনে প্রায় ১০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা করছেন বাগান মালিকদের সাথে। এর মধ্যে প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মাছ চাষে বিনিয়োগ করতে আমাদের বাস্তব জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা মাছ চাষ বিষয়ক অনুচ্ছেদ গুলো পড়লে মাছ চাষে আপনার টেকনিক্যাল জ্ঞান বৃদ্ধি ও লাভবান হবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
এর ফলে প্রায় প্রতিদিন ৪০ হাজার মণ আম ট্রাক এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌছাচ্ছে। একই ভাবে পোরশা উপজেলার আমের বাজারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। যার দরুন দুই উপজেলার প্রচুর কর্মহীন মানুষ এই ক্রান্তিলগ্নেও কাজের সন্ধান পাচ্ছেন। চলমান পরিস্থিতিতে পরিবহন সমস্যা হলেও, খাদ্যমন্ত্রীর একান্ত সহযোগীতায় বিশেষ ব্যবস্থায় আম যথাসময়ে পরিবহন করার দরুন আম চাষীরা নায্যমূল্য পেয়েছে বলে জানা যায়।
আমের বাজারগুলোতে ঘুরে জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কুরিয়ারে আম পাঠানোর চাহিদা বেড়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল প্লাটফর্মে আম বিক্রয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও ই-কমার্স সার্ভিস এর মাধ্যমে আমের বিক্রয় বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে আমের অর্ডার। একারণে আমবাগানের মালিকেরা আমের নায্যমূল্য পাচ্ছে ফলে তারা বেশ খুশি। পাশাপাশি সরকারের সহযোগীতার জন্য তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।