অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন মাগুরার আলুচাষিরা। এবছর বাজারে আগাম জাতের আলুর ভালো দাম পেয়ে খুশি বলে জানিয়েছেন তারা।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে মাগুরা জেলায় ১ হাজার ১শ মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবছর জেলায় ৯শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শালিখা উপজেলায় ছত্রিশ, শ্রীপুরে নয় হেক্টর, মহম্মদপুরে চার ও সদর উপজেলা এক হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার হাজরাপুর গ্রামের আলুচাষি বিকাশ জানান, আগাম জাতের ক্যারেজ আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ক্যারেজ আলু চাষ করেছেন তিনি।
সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আলুচাষি বেলাল হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারে ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৪শ টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ আলু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।
প্রথম দিকে একশ টাকা কেজি থেকে শুরু হলেও বর্তমানে খুচরা বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু। আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় দাম কমলেও এবার ফলন বেশি হওয়ায় লাভ ভালো হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
আগাম জাতের আলু ওঠার পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় দফায় অন্যান্য আলু চাষ করার সময় বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ মণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এ সময় আলু বাজার দর কিছুটা কম থাকলেও অতিরিক্ত ফলনের কারণে কৃষকদের লোকসান হয় না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক জনান, আগাম আলু চাষ সফল করার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে।