সরকার হিমাগার এবং পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দিলেও তা মানছে না খুচরা বিক্রেতারা। সরকার বেধে দিল ৩০ বাজারে আলুর দাম ৫০ টাকা
খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ দিচ্ছেন পাইকার ও আড়তদারদের। আর এই দুপক্ষ বলছে, হিমাগারে বাড়তি দামের কথা। বাজার মনিটরিংয়ে আসা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিও এ নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতা বলছেন, আগের বেশি দামে আলু কেনায় সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করলে তাদের লোকসানে পড়তে হবে।
কম দামের আলু বাজারে এলে তখন তারা কম দামে আলু বিক্রি করবে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজার, মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার এবং খিলগাঁও বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে আজ সকালে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর)।
রাজশাহী ও রংপুরে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিদরে আর বিক্রমপুরের প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তে রাজশাহীর প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা, বিক্রমপুরে আলু ৪১ টাকা, লাল আলু ৪০ টাকা, আর ছোট-বড় মিশ্রিত প্রতিকেজি আলুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৮ টাকা।
সরকারের নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়ে খিলগাঁও বাজারের বিক্রেতা শিপন জানান, আমার প্রতিকেজি আলু কেনা আছে ৪৬ থেকে ৪৮ টাকায়। এর মধ্যে অন্যান্য আরও খরচ আছে। তাহলে আমি কীভাবে ৩০ টাকায় আলু বিক্রি করবো।
এর আগে বুধবার (১৪ অক্টোবর) প্রতিকেজি আলুর দাম হিমাগারে ২৩ টাকা, পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি নিশ্চিত করতে সারাদেশের জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।
সরকারের নির্ধারিত মূল্যেকে যে ভাবে বুড়ো আংগুল দেখাচ্ছে বাজার সেখানে জনগনের কি বা করার আছে।