Tuesday, 09 December, 2025

বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম


বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম নিয়ে আজকের আলোচনা-

বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম

কেমিক্যাল উপদান মুক্ত বৃষ্টির পানি, নদির পানি, জলাশয়ের পানি অথবা গভির নলকুপের পানি বায়োফ্লকে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে পানির গুনাগুন পরীক্ষা করে নেওয়া ভাল।

আরো পড়ুন
টানা তিন মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু: দাম কমার প্রত্যাশা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ (Indian Onion Import) আমদানি শুরু হয়েছে

দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ (Indian Read more

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নিশ্চিত করতে হবে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে Read more

ট্যাঙ্ক ব্লিচিং পাউডার দিয়ে জিবানুমুক্তকরন করে এবং পানির গুনাগুন পরিক্ষা করে পানি ঢুকাতে হবে। একদিন শুকিয়ে নিয়ে পটাশিয়াম পার ম্যংগানেট বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ভাল ভাবে জীবাণুমুক্ত করে আবার একদিন শুকিয়ে নিতে হবে।

এরপর বায়োফ্লক ট্যাঙ্ক এ অর্ধেক পানি নিয়ে দুই দিন এরেটর দিয়ে অক্সিজেন দিতে হবে। দুই দিন অক্সিজেন দেয়ার পর টিডিএস এবং পিএইচ পরিমাপ করতে হবে। টিডিএস হবে ৫০০-১৩০০ এবং পিএইচ এর পরিমাপ ৭ এর উপরে থাকা ভাল। প্রাথমিক অবস্থায় টিডিএস ৬০০ এবং পিএইচ ৬-৭ এর মধ্যে থাকে।

টিডিএস কম থাকলে ট্যাঙ্কে র সল্ট দিতে হবে। প্রোবায়োটিক দেবার আগে টিডিএস এর মান ৫০০ থাকা নিশ্চিত করতে হবে। টিডিএস বেশি হলে ফ্লোক ভাল তৈরি হয় না। টিডিএস বাড়ানোর জন্য প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ গ্রাম র সল্ট দিতে হবে।

যাদের পানিতে আগে থেকেই টিডিএস বেশি তাদের পানির লবনাক্ততা এবং আয়রনের পরিমান পরিমাপ করা দরকার। সেক্ষেত্রে ফিটকিরি দিয়ে দুই বা তিন দিন পর তলানি থিতিয়ে ফেলে দিলে টিডিএস কমে যায়।

বায়োফ্লক বা পুকুরে হোক মাছ চাষের যথার্থ পিএইচ ৬.৫-৮.৫। পানিতে পিএইচের মান কম হলে চুন দিতে হবে আর পিএইচের মান বেশি হল কিছু করার দরকার নাই শুধু এরেটর চালিয়ে যেতে হবে পিএইচ এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। পিএইচের মান ৬ এর নিচে চলে আসলে প্রতি ১০০০০ লিটার পানিতে ৫০০ গ্রাম হারে চুন দিতে হবে। পিএইচের মান যদি ৮.৫ এর উপরে চলে যায় তবে তেতুলের রস দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সীমার মধ্যে পিএইচের মান আনতে হবে।

পিএইচ এবং টিডিএস ঠিক করার দুই দিন পর প্রতি ১০০০০ লিটারে ৭ লিটার (FCO) এফ সি ও প্রয়োগ করতে হবে। এফ সি ও প্রয়োগের পর যে কোন দিন মাছ বায়োফ্লকে ছাড়া যাবে।

FCO তৈরির নিয়ম

১ লিটার মোলাসেস এ ২০০ গ্রাম প্রোবায়োটিক (যেকোন ব্রান্ডের প্রোবায়োটিক হতে পারে) মিশিয়ে ৫-৭ দিন এরেটর দিয়ে এরেশন করেলে প্রোবায়োটিক তৈরি হয়ে যায়। এফ সি ও পদ্ধতি সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি।

0 comments on “বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ