
দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর (Hili Land Port) দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ (Indian Onion Import) আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই আমদানি শুরু হওয়ায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসার এবং দ্রুত দাম কমার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
আজ রোববার (তারিখ: আজ ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫) বিকেল সোয়া চারটার দিকে ভারত থেকে ৩০ টন পেঁয়াজবোঝাই একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আমদানির বিস্তারিত
আমদানিকারক: মেসার্স রকি ট্রেডার্স।
পেঁয়াজের উৎস: ভারতের উত্তর প্রদেশের ইন্দর এলাকা।
আমদানির পরিমাণ (প্রথম দিন): ৩০ টন।
সর্বশেষ আমদানি: চলতি বছরের ৩০ আগস্ট।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রকি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আতিক হাসান জানান, প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ২৫০ মার্কিন ডলারে এলসি (LC/ঋণপত্র) খোলা হয়েছে।
“ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২ রুপিতে কেনা হয়েছে। ওপারে গাড়িভাড়াসহ কেজিপ্রতি ১৮ রুপি খরচ পড়েছে। হিলি স্থলবন্দরের শুল্কায়ন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে বাংলাদেশে এই পেঁয়াজ পাইকারি ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে। আমদানি করা এসব পেঁয়াজ আজ রাতেই রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হবে।”
বাজারে পেঁয়াজের বর্তমান দাম
গত এক সপ্তাহ ধরে হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া ছিল।
| পেঁয়াজের ধরন | প্রতি কেজির দাম (টাকা) |
| দেশীয় শুকনা পেঁয়াজ | ১২০ থেকে ১৩০ |
| সদ্য ওঠা পাতা পেঁয়াজ | ৫০ থেকে ৬০ |
বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয় (Ministry of Agriculture, Bangladesh) ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুমতি ও প্রক্রিয়া
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেন যে কৃষি মন্ত্রণালয় চারটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে মোট ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (IP- Import Permit) দিয়েছে।
“একজন আমদানিকারক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।”
নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে এবং ভোক্তারা দ্রুত কম দামে পণ্যটি কিনতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

