Sunday, 28 September, 2025

কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষিশ্রমিকদের অবদান অসামান্য: কৃষিমন্ত্রী


দেশে চাষ উপযোগী ফসল এর চাষ বাড়াতে জোর দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষিতেই মূলত আমাদের দেশ দাড়িয়ে আছে। আর কৃষিতে প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। প্রতিনিয়ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন। আর কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষিশ্রমিকদের অবদান অসামান্য। কৃষি শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে এবং তাদের নাবীকরণে অবদান রাখে।

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক আজ এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষিশ্রমিকেরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। দেশে ১০৬টি উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। বিজ্ঞানীদের মেধা ও মনন আর কৃষি শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামের কারণে সম্ভব হয়েছে।

দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন
পদোন্নতি, বদলি, দুর্নীতি দমন: এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বড় পরিবর্তন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গত Read more

ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

আজ শুক্রবার সকালে গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নবনির্মিত শ্রমিক কলোনি ভবন উদ্বোধন হয়।

এই উদ্বোধন শেষে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

উদ্বোধন শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক তার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে নানা ধরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।

শ্রমজীবী মানুষের আবাসনের জন্য তিনি ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন।

কৃষি শ্রমিকদের জন্য হওয়া নবনির্মিত ভবন এর একটি বাস্তব উদাহরণ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেসবাহুল ইসলাম।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত কৃষিসচিব সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীরসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

অনুষ্ঠান এর শেষে কৃষিমন্ত্রী কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন।

বিশেষ করে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন (ধান কাটার মেশিন) কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার প্রযুক্তি।

এরপর কৃষিমন্ত্রী আরও একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতি থেকে এই বার্ষিক পুনর্মিলনী আয়োজিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব মেসবাহুল ইসলামকে।

একই সাথে নবনিযুক্ত কৃষি সচিব সাইদুল ইসলামকে বরণ করে নেন কৃষি মন্ত্রণালয় এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

0 comments on “কৃষিপ্রযুক্তি উদ্ভাবনে কৃষিশ্রমিকদের অবদান অসামান্য: কৃষিমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ