Tuesday, 21 October, 2025

ওয়ার্ল্ড ফিস থেকে তৃতীয় প্রজন্মের দ্রুত বর্ধনশীল রুই গ্রহন করলেন মৎস্য অধিদপ্তর


ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ অ্যাকুয়াকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রকল্পের অধীনে ইউএসএআইডির অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ডফিশের সমন্বয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে “ওয়ার্ল্ড ফিশ কার্প জেনেটিক ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

ওয়ার্ল্ড ফিশ দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ক্রিস্টোফার প্রাইসের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মশালা শুরু হয় ৯ মে, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এইচ মাহবুবুল হক। উদ্যোগটি সুপরিচিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি কার্প উৎপাদন এবং গবেষণার সাথে সম্পর্কিত বেসরকারী এবং সরকারী স্টেকহোল্ডারদেরও আকৃষ্ট করেছে। কে এইচ মাহবুবুল হক মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রুত বর্ধনশীল ওয়ার্ল্ড ফিশ জেনারেশন থ্রি (জি৩) রোহু গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন
ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় ফাঁকা সাগরে ভারতীয় জেলেদের অবাধ বিচরণ ও দস্যুতা
নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের হাতে বাংলাদেশের জলসীমা থেকে আটক হওয়া ভারতীয় জেলেদের ট্রলারের ছবি।

প্রজনন মৌসুমে বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলেও, ভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ, দস্যুতা ও সম্পদ লুণ্ঠন। মা ইলিশের Read more

লাভজনক তুলা চাষে করণীয় ও সতর্কতা: সোনালী আঁশের সম্ভাবনা
লাভজনক তুলা চাষ

তুলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। একসময় তুলা চাষ কম লাভজনক মনে হলেও, বর্তমানে উন্নত জাতের বীজ (যেমন: হাইব্রিড ও Read more

তৃতীয় প্রজন্মের দ্রুত বর্ধন শীল রুই গ্রহন

কার্প জেনেটিক ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রামের (সিজিআইপি), ওয়ার্ল্ড ফিশ ২০১২ সালে দেশের তিনটি নদী পদ্মা, যমুনা ও হালদা থেকে কিশোর রোহু, কাতলা এবং সিলভার কার্প মাছ এবং স্পন সংগ্রহ করে।

২০২২ সালে একটি অন-ফার্ম ট্রায়ালের জন্য G3 রোহু স্ট্রেনগুলি ১৯ টি হ্যাচারিতে জন্মানো হয়েছিল৷ ট্রায়ালের ফলে G3 রুই ওজন প্রচলিত জাতের তুলনায় ৩৭% বেশি৷ কার্প জেনেটিক ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম (CGIP) এর অধীনে, WorldFish সংগ্রহ করেছে রুই, কাতলার পোনা, এবং ২০১২ সালে দেশের তিনটি নদী পদ্মা, যমুনা এবং হালদা থেকে সিলভার কার্প মাছ এর রেনু।

২০২২ সালে অন-ফার্ম ট্রায়ালের জন্য G3 রুই স্ট্রেনগুলি 19টি হ্যাচারিতে জন্মানো হয়েছিল। পরীক্ষার ফলে দেখা যায় G3 রুই এর বৃদ্ধি প্রচলিত জাতের তুলনায় 37% বেশি।

ওয়ার্ল্ড ফিশের ডিসেমিনেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ ইয়াসিন কর্মশালায় বলেন, “বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক জি থ্রি রুই ব্রুড গ্রহণের ফলে সারা দেশে রুই এই উন্নত জাতটির বিস্তার ত্বরান্বিত হবে।”

0 comments on “ওয়ার্ল্ড ফিস থেকে তৃতীয় প্রজন্মের দ্রুত বর্ধনশীল রুই গ্রহন করলেন মৎস্য অধিদপ্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ