
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে কানাডা, মরক্কো এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে সৌদি আরব ও কাফকো থেকে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সার কিনতে মোট ব্যয় হবে ৭২২ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন এমওপি এবং ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার রয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
কোথা থেকে কত সার কেনা হচ্ছে:
কানাডা (এমওপি): কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৩৫৬.২৫ মার্কিন ডলার।
মরক্কো (এমওপি): মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস এবং বিএডিসি-এর চুক্তির আওতায় ৮ম (ঐচ্ছিক-১ম) লটে ৩০ হাজার টন সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৮১ লাখ ৫৬ হাজার ২৪০ টাকা। এখানে প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৫৬ হাজার ৮৬৭ মার্কিন ডলার।
সৌদি আরব (ইউরিয়া): শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ৪২২.৬৬ মার্কিন ডলার।
কাফকো (ইউরিয়া): ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ষষ্ঠ লটে আরও ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে সরকার।