দেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবান। এবার এই বান্দরবানে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই শিম চাষিদের মনে আনন্দের জোয়ার বইছে। বান্দরবানে শিমের বাম্পার ফলন হওয়ায় আগের বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন চাষিরা। এমনটাই আশা করছেন এ জেলার শিম চাষিরা।
শিম শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম ও বিখ্যাত একটি সবজি। এই সবজি পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি সম্ভবত খুজে পাওয়া যাবে না। তাই বান্দরবানে শিমের বাম্পার ফলন এ অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসির সঞ্চার করেছেন।
সবুজের মাঝে সাদা ও বেগুনি ফুলের নয়নাভিরাম দৃ্শ্য
বান্দরবান সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলা, কুহালং ও ডলুপাড়া এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবুজের মাঝে সাদা ও বেগুনি রঙের শিম ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রায় সবখানে।
শিম খেতের নয়নাভিরাম এ দৃশ্য বিমোহিত করবে যেকোনো পথচারীকে।
.সবজি হিসেবে শিম উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
বাজারে এই শিমের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।
জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী শিমে ৮৫ গ্রাম পানি, ৪৮ গ্রাম কিলোক্যালরি থাকে।
তাছাড়াও থাকে ৩ গ্রাম আমিষ, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ০.৭ গ্রাম চর্বি, ০.৪ গ্রাম খনিজ লবণ, ২১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৭ মিলিগ্রাম লৌহ, ১৮৭ মাইক্রো মিলিগ্রাম ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-১, বি-২, ভিটামিন সি এবং আঁশ জাতীয় উপাদান।
সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলা এলাকার শিম চাষি মো. মুছা মিয়া।
তিনি জানান, উপজেলার গোয়ালিয়া খোলা ও বটতলী পাড়া এলাকায় শিমের চাষ করা হয়।
প্রায় ১ একর জমিতে এবার শিমের চাষ করা হয়েছে।
অন্যান্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
১০ দিন অন্তর অন্তর ফসল সংগ্রহ করা হয়।
প্রতি ১০ শতক জমি থেকে ১২ থেকে ১৩ শত কেজি শিম বিক্রি করা যাচ্ছে বর্তমানে।
বাজারে রয়েছে প্রচুর চাহিদা
বাজারে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে শিমের চাহিদা রয়েছে।
পাইকাররা ২৫ টাকা কেজি দরে শিম নিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতি কেজিতে গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি।
এতে এই মৌসুমে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে শিম থেকে।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান উপজেলায় শিমের আবাদ করা হয়েছে ১০৮ হেক্টর জমিতে।
তিনি আশা করেন হেক্টর প্রতি ১৫ মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হবে এই মৌসুমে।
এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে শিম চাষিদের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।