টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। আগামী আট বছরে যার ফল দেখবে দেশের জনগণ। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে এসডিজি। এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে কাজ করবে সরকার। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট (ব্রি) এজন্য একটি কৌশলপত্র প্রণয়ণ ও উপস্থাপন করেছে আজ।
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হোটেল সোনারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট আয়েজিত এই অনুষ্ঠানে এই কৌশলপত্র উপস্থাপন ও মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রণীত এই কৌশলপত্রের শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশে চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণকরণ-ডিআরপি’ । এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান যে বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ঘোষিত সময়ের আগেই সাফল্য দেখিয়েছে সরকার। এই সফলতার ধারাবাহিকতায় এসডিজির আগেই চালের উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা হবে। এটি স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পর এ দেশে প্রতি হেক্টরে মাত্র একটন চাল উৎপাদন হতো। সেই অবস্থা পরিবর্তন হয়ে এখন হচ্ছে চারটন। গত ৫০ বছরে এটি চারগুণ হয়েছে। আগামী সময়ের মধ্যে এর পরিমাণ দ্বিগুণ হবে সেটাও সম্ভব।
চাল স্বয়ংসম্পূর্ণতার পরেও আমদানির প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী জানান, ফসল উতপাদন আবহাওয়া নির্ভর। প্রাকৃতিক কারণে মাঝে মাঝে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে, তাতে ৪৩ সালের মনন্তরের মতো লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মরতে হবে না কারও। মন্ত্রী বলেন এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না।
এসডিজি পূরণে বড় চ্যালেঞ্জ পুষ্টি নিশ্চিত করা। খাদ্যের প্রাপ্যতা এখানে মূখ্য নয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ পুষ্টির দিক থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে। বর্তমান সরকার এখন সেই পুষ্টি পূরণে কাজ করছে। এখন দেশের ৭৮ ভাগ জমিতে শুধু মাত্র ধান চাষ হচ্ছে। এই চাষের ক্ষেত্র বহুমুখী করে তৈরি করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এই অনুষ্ঠানে ব্রির কৌশলপত্র আলোচনা ও উপস্থাপন করেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। এই কৌশলপত্র উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।