বাংলাদেশের কৃষিতে অনেক ফসলের ফলন চাহিদার থেকে বেশি উৎপাদন হয়। কিন্ত অতিরিক্ত এ সকল কৃষিপণের সঠিক ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরনের সুযোগ না থাকতে নষ্ট হয় প্রতি বছর।
ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশন কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলু, আম, আনারস, টমেটো, ভুট্টা ও তরিতরকারিসহ কৃষকের উৎপাদিত বেশকিছু কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। এ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে দেশের অনেক কৃষক লাভবান হবেন এবং পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে উৎসাহী হবেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) ৩৫তম এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সের সমাপনী এবং পরবর্তী ৩৬তম সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজন প্রসঙ্গ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ২০২২ সালে ৩৬তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করবে বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় (FAO) যোগদানের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এই সম্মান পেয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে ভুট্টার চাষ হতো না। এখন বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়। কৃষক ভুট্টার ভালো দাম পাচ্ছেন বলেই উৎপাদন করছেন। বাংলাদেশে এত ভুট্টা উৎপাদনের পরেও প্রয়োজন মেটাতে আরও ২০ লাখ টন ভুট্টা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এই ভুট্টা প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ রয়েছে। ভুট্টা থেকে কর্ণ তেল উৎপাদন হয়। যে তেল ইইরোপ-আমেরিকার মানুষ খায়। আমাদের দেশে এই ভুট্টার তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু হলে উৎপাদনও বাড়বে, কৃষক আরও ভালো দাম পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এবং ফাও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।