আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে গাইবান্ধায়। ধান কাটা ও মাড়াইয়ে চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর বন্যা হয়নি।সেই সাথে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ধান চাষে সফলতার মুখ দেখছেন। তাই আমন ধানের বাম্পার ফলন নিয়ে ব্যাপক ফলনে দারুণ খুশি চাষিরা। কৃষি বিভাগ আমন ধান চাষে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতাসহ মাঠে কাজ করছে।
আমন ধানের বাম্পার ফলন গাইবান্ধায়
সরেজমিনে গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায় দেখা যায় কৃষকদের ব্যস্ততা।
কৃষকরা ব্যস্ত রয়েছেন ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে।
কেউ ধান কাটছেন তো কেউ কাটা ধানের আটিগুলো বাড়ি নিচ্ছেন।
আবার কেউ কাজের ফাঁকে জমির আইলে খাবার খাচ্ছেন।
সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের কৃষক আমিনুল ইসলাম।
তিনি জানান, এবছর আমন ধানের ফলন বেশ ভালো হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে তারা কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েননি বলে জানান এই চাষি।
ধান ঘরে তুলতে তাই তার কোনো সমস্যা হয়নি।
এই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মতিন।
তিনি বলেন, এবছর ধান চাষে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।
চলতি মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হলেও গাইবান্ধায় বৃষ্টি হয়নি।
তাই তারা ধান কাটা-মাড়াই সুন্দরভাবে করতে পারছি।
সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল।
এই চাষি জানান, পোকার আক্রমণে আমন ধান চাষ করে প্রথমে তারা হতাশায় ছিলেন।
পরে কৃষি বিভগের পরামর্শে তারা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেন।
যার ফলে তারা ভালো ফলন পেয়েছেন বলে দাবি করেন।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাদেকুজ্জামান।
তিনি বলেন, এবছর সাঘাটায় ব্রি উদ্ভাবিত ধানের জাত চাষ করা হয়।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যেমন ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৭২ ও ব্রি ধান-৮৭ জাতের ধানের চাষ।
কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে কৃষি বিভাগ থেকে।
সাঘাটা উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ৩শ ১২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে রোপা আমন ধানের।
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের কৃষি পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।
বর্তমানে রোপা আমন ধান কাটার কাজ জোরালো ভাবে এগিয়ে চলছে।
এবছর জেলার ৭ উপজেলায় আমন ধানের চাষ করা হয়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৪শ ৮০ হেক্টর জমিতে।
এক লাখ ২৮ হাজার ৯০ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।