বোরো ধানের কাটার সময়ে অশনির প্রভাব। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাব পড়েছে দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে। সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। বাতাসের গতি বেশি না হলেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ঝরেছে।
সুগন্ধা, বিষখালী এবং হলদা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানি বাড়লেও এখন পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, সোমবার বিকাল পর্যন্ত সুগন্ধা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১.১৫ মিটার। এতে কৃষকরা রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। জেলার ফসলের মাঠগুলোতে মুগ ডাল এবং বোরো ধান রয়েছে। এর মধ্যে মাঠে থাকা ৮০ ভাগ ধান কাটার উপযোগী হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি ও বাতাসের প্রভাবে অনেক জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিপদ সংকেত বাড়লে দুর্যাগ বিষয়ক সভা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তবে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ঘূর্ণিঝড়কালে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
ক্ষরার পর আসল এই অশনি সংকেত।