স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ‘সুবর্ণ রুই’ মাছ অবমুক্ত করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)।
দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণা এবং খামারে ট্রায়ালের মাধ্যমে এই জাত উদ্ভাবন করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় বিএফআরআই মিলনায়তনে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ওই মাছটি অবমুক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বিএফআরআই মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ হ্যাচারি সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, উদ্ভাবিত উন্নত জাতের এই সুবর্ণ রুই মাছের চাষ দেশের কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে ২০ শতাংশ অধিক হারে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, উন্নতজাতের চতুর্থ প্রজন্মের ‘সুবর্ণ রুই’ মাছ স্বাদু পানি ও আধা-লবণাক্ত পানির পুকুর, বিল, বাঁওড় এবং হাওরে চাষ করা যাবে। তাছাড়া উন্নত এ জাতের রেণু পোনা হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করে নার্সারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এটি যেহেতু উদ্ভাবন হয়েছে সেজন্য আমরা এর নাম দিয়েছি ‘সুবর্ণ রুই’। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে যেহেতু ‘সুবর্ণ’ নামের সামঞ্জস্য রয়েছে, আমরা আশা করছি মাঠপর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং সহজেই সম্প্রসারিত হবে। সেই সঙ্গে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বর্তমানে দেশে চার লাখ মেট্রিক টন রুই মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা ২০০৯ সাল থেকে উন্নত জাতের কার্ফু জাতীয় রুই মাছ উদ্ভাবনে কাজ করে আসছেন। এছাড়া বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা ১০টি দেশীয় জাতের মাছ উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন।