বরিশালে দুটি পৃথক অভিযানে সাড়ে ৫ লাখ গলদা চিংড়ির রেণু পোনাসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৪ লাখ রেণু পোনাসহ ১৯ জনকে নৌ-পুলিশ এবং দেড় লাখ রেণু পোনাসহ ১ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জনকে ১ মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপরজন ১২ বছর বয়সের শিশু হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত রেণু পোনা কীর্তনখোলা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বরিশাল নৌ থানার ওসি হাসনাত জামান জানান, ভোলার বোরহানউদ্দিন থেকে একটি ট্রাকে ২০টি ব্যারেল ভর্তি বিপুল পরিমাণ চিংড়ির রেণু পোনা খুলনায় পাচার হচ্ছিলো। গোপন সূত্রে এ খবর পেয়ে নৌ পুলিশের একটি দল আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর টোলপ্লাজায় চেকপোস্ট স্থাপন করে। ট্রাকে থাকা ২০টি ব্যারেলে ৪ লাখ রেণু পোনাসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়। প্রতিটি ব্যারেলে ২০ হাজার করে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা ছিল।
এদিকে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আরও দেড় লাখ গলদা চিংড়ির রেণু পোনাসহ একটি পিকআপ এবং এক পাচারকারীকে আটক করে উপজেলা প্রশাসন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান জানান, পটুয়াখালীর দশমিনা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি পিকআপে ৫টি ব্যারেলে ভর্তি গলদা চিংড়ির দেড় লাখ রেণু পোনাসহ একজনকে আটক করা হয়।
দুই অভিযানে আটক ২০ জনকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিশাত তামান্নার ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক ১৯ জনকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অপরজন শিশু হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দণ্ড ঘোষণার পর ১৯ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত রেণু পোনা কীর্তনখোলা নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।