Sunday, 24 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসল নষ্ট, চোখে অন্ধকার দেখছেন কৃষক


শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে

শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভেঙে পড়েছেন রংপুর জেলার কৃষক। হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক কৃষক এখন দিশেহারা। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই শিলাবৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসল নষ্ট হবার কারণে ঋণ পরিশোধ ও জীবন যাপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

ক্ষতি হয়েছে আমের মুকুলেও

সরেজমিনে দেখা যার, গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে মাঠে লাগানো গম, তামাক ও ভুট্টাখেতের ব্যাপক আকারে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

চার-পাঁচ মিনিটের শিলাবৃষ্টির কারণে এই ক্ষয়-ক্ষতি এখনো অনেকে মেনে নিতে পারছেন না।

শুধু ফসলেই নয়, ক্ষতি হয়েছে আমের মুকুলেরও।

উপজেলার বেতগাড়ি ই্উনিয়নের গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের চোখেমুখে প্রবল হতাশার ছাপ।

ইউনিয়নের আদর্শপড়া গ্রামের একজন কৃষক জানান, গত শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি শুরু হবার মিনিটখানেক পর থেকেই শিলা পড়তে থাকে।

এর ফলে মাঠে থাকা বিভিন্ন ফসলের সাথে শিলার আঘাতে কিছু কিছু ঘরের টিন পর্যন্ত ছিদ্র হয়ে যায়।

তিনি এখন ক্ষতিগ্রস্ত নষ্ট কাঁচা গমগাছ কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।

শাহপাড়া গ্রামের একজন  কৃষক জানান এর আগে এত শিলাবৃষ্টি তিনি কখনোই দেখেননি।

জুম্মাপাড়া গ্রামের কৃষক শাহ আলম।

তিনি বলেন, ৩৭ শতক জমি বর্গা নিয়ে তিনি তামাক লাগিয়েছিলেন।

কিন্তু শিলার আঘাতে আঘাতে সকল তামাক মাটিতে মিশে গেছে।

তিনি জানান, শিলার আঘাতে তামাক নষ্ট হয়ে গেছে কিন্তু জমির মালিক তার পাওনা ১০ হাজার টাকা মাফ করবে না।

এদিকে ধানের আবাদ করতে না পারলে তিনি কীভাবে কি করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

তামাকের বিষয় ক্ষতি হিসেবে দেখাতে চান না কৃষি কর্মকর্তারা

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিলার আঘাতে এই ইউনিয়নের গ্রাম সমূহ সহ ১০-১২টি গ্রামের অন্তত পাঁচ শতাধিক কৃষকের গম ভুট্টা, তামাকখেত সম্পূর্ণ রূপে বিনষ্ট হয়ে গেছে।

অবশ্য কৃষকের দেওয়া ওই ক্ষতির পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নন কৃষি কর্মকর্তারা।

ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন এ পরিসংখ্যান সত্য নয়।

মুঠোফোনে মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউনিয়নের ছয়-সাতটি গ্রামের ক্ষতি হয়েছে।

শিলাবৃষ্টিতে মাঠে থাকা গম, তামাক, ভুট্টার আবাদ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়েছে।

এ অঞ্চলে তামাকের চাষ বেশি হওয়ায় তারা সেটাকে ক্ষতি আকারে দেখাতে চান না বলে জানান।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১৫০ জন বলে তিনি জানান।

0 comments on “শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসল নষ্ট, চোখে অন্ধকার দেখছেন কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *