Tuesday, 12 August, 2025

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ


পেয়াজ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলে পেয়াজের চাষ বেড়েছে চলতি মৌসুমে। পরিসংখ্যান বলছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো পাবার আশা আছে।

চরাঞ্চলের বেলে মাটি‍তে যে কোন ফসলের আবাদ করতে হলে প্রচুর সেচ প্রয়োজন হয়।

এলাকায় কিছুটা শ্রমিকসংকট থাকার ফলে উৎপাদনে কিছুটা বাড়তি খরচ হচ্ছে।

আরো পড়ুন
ফরিদগঞ্জে ‘সোনালি আঁশ’ এখন সোনালি অতীত? আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকেরা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা একসময়  ছিল পাটের জন্য বিখ্যাত। চারপাশে দেখা যেত পাটের খেত, আর নদী-খাল-পুকুরে চলত পাট জাগ দেওয়া ও Read more

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে জোর, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খামারিদের প্রশিক্ষণের আহ্বান

শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, খাদ্য নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করাও জরুরি। বরিশালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিষয়ক উপদেষ্টা Read more

রৌমারী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

গত বছর  পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছিল ১৬৩ হেক্টর জমিতে।

কিন্তু সে জায়গায় এবার ২৫৪ হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ হয়েছে।

এর মধ্যে চারা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৯০ হেক্টর জমিতে।

অন্যদিকে কমবো পেঁয়াজ ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

পাশাপাশি বীজ ছড়িয়ে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে ১৫২ হেক্টর জমিতে।

এ ছাড়া কিছু চাষ করা হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ।

জানুয়ারির শেষ থেকে শুরু হয় পেঁয়াজের চারা লাগানো।

এটি রোপণ করা শেষ হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে।

এপ্রিলের শুরু থেকে এ ফসল ঘরে তোলার উপযোগী হয়।

গত শনি ও রোববার চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পেয়াজের ক্ষেতের চিত্র দেখা যায়।

কৃষকেরা জমিতে পেঁয়াজের চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এসব জমি অনাবাদি ছিল।

এ অঞ্চলে তাঁরা এখানে আবাদ শুরু করেন  দুই-তিন বছর ধরে।

তবে বাতাসে সঙ্গে প্রচুর ধুলা উড়ে বেড়ায় এ সকল ক্ষেতে।

তাই পেঁয়াজের জমি পরিচর্যা করতে সমস্যা হচ্ছে।

এরকম আবহাওয়ায় শ্রমিকেরা কাজ করতে চায় না বিধায় দেখা দিয়েছে শ্রমিকসংকট।

এতে অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে শ্রমিক সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

এ ছাড়া বালু মাটি হবার কারনে জমিতে প্রচুর সেচ দিতে হয়।

তেলের দাম বেড়ে যাবার কারনে সেচ দিতে প্রচুর খরচ বেড়ে গেছে।

পেঁয়াজচাষি আবু ছাঈদ খান এর সাথে কথা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিদিন পেঁয়াজের জমিতে নিড়ানি ও সেচ দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে বর্তমানে।

একটি জমিতে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার সেচ ছাড়াও শ্রমিকপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

সেচ সহায়তা পাওয়া গেলে পেঁয়াজ চাষ আরও বাড়বে বলে জানান এই চাষি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে আছে চলতি মৌসুমে।

যার ফলে রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

রৌমারী পুরোটাই একটি চরাঞ্চল।

তাই এখানকার কৃষকদের পেঁয়াজ চাষে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

0 comments on “লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজের চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ