Thursday, 25 September, 2025

ব্লাক রাইস ধান চাষ হচ্ছে দিনাজপুর জেলায়, তথ্য জানেনা কৃষি বিভাগ


ব্লাক রাইস ধান চাষ হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কামার পাড়া ইউনিয়নে। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে এসে রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ নামের এক যুবক এই ব্লাক রাইস চাষ করছেন।

নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘরে তোলা যাবে এই ধান। গত ৩০ জুলাই জমিতে চারা রোপণ করা হয় এই ধান। যদিও ধানক্ষেতে থাকতেই বীজ হিসেবে ক্রয়ের জন্য খানসামার কৃষকদের মধ্যে সাড়া পড়ে গেছে।

চলতি মৌসুমে ৫২ শতক জমিতে এই ব্লাক রাইস চাষ করছেন বলে জানিয়েছেন রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

সিঙাপুর থেকে ফিরে করছেন ব্লাক রাইস চাষ

রেজওয়ানুল সরকার সোহাগ এই ধানের চাষ করেছেন খানসামা উপজেলার ৪ নং খামার পাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া আদিবাসি স্কুলের পাশে। তিনি ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত জোনাব আলী সরকারের ছেলে। সিঙ্গাপুরে ছিলেন ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। দেশে আসার পর তার বাবা মারা গেলে আর সিঙ্গাপুর ফিরে যান নি তিনি।

সোহাগ জানান, সিঙ্গাপুরের মানুষ, বিশেষ করে চীনের মানুষ ব্লাক রাইস বেশি দামে কিনে খেত। ৫ কেজি সাধারণ চাল এর দাম ১২ থেকে ১৬ ডলার অন্যদিকে ৫ কেজি ব্লাক রাইস এর দাম ২০ ডলার। ব্লাক রাইস শরীরে চর্বি জমতে দেয় না ধীরে ধীরে হজম হয়। যার কারণে  কম খুদা লাগে।

এক বন্ধুর মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে এর বীজ সংগ্রহ করেন সোহাগ। এরপর বাড়িতে পরিবার নিয়ে খাওয়ার জন্য এবং উৎপাদন কেমন হয় তা জানার জন্য এই প্রথম ব্লাক রাইসের চাষ করছেন। প্রতি একরে ৩৫ মণ পর্যন্ত ফলন হয়।  ভালো দাম পাওয়া গেলে এবং চাহিদা থাকলে আগামীতে ব্লাক রাইসের চাষ আরো বৃদ্ধি করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সোহাগ বলেন, বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র দেখে তিনি জেনেছেন কালো চাল ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক  হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল।

ঢাকায় বিদেশি কোম্পানিগুলো এই চাল হাজার টাকায় কেজি বিক্রি করেন। তবে  সোহাগ জানান স্থানীয়ভাবে তিনি প্রতি কেজি কমপক্ষে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

সোহাগ আরো জানান, কালো চালের ভাতও কালো এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, সুগন্ধযুক্ত দামি ও স্বাস্থ্যকর। এ কালো চাল সারা পৃথিবীতে খুবই সমাদৃত।

স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, ব্লাক রাইস সম্পর্কে তিনি জানেনা। তার জানামতে খানসামা উপজেলায় কেউ ব্লাক রাইস ধান রোপণ করেননি।

0 comments on “ব্লাক রাইস ধান চাষ হচ্ছে দিনাজপুর জেলায়, তথ্য জানেনা কৃষি বিভাগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ