প্রতিবছর ৯ই অক্টোবর বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস পালিত হয়। পরিযায়ী পাখির আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখা, বিচরণস্থল সংরক্ষণ, পাখির নিরাপত্তা রক্ষায় এই দিবস পালিত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাব রাজধানী ঢাকার মিরপুর দোয়ারি পাড়ায় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। প্রবর্তন ফাউন্ডেশন পরিচালিত স্কুলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সচেতনতামূলক এই আয়োজন করা হয়।
“পাখির মত গান গাই, উড়ে আর ভেসে বেড়াই” ছিল এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়।
আয়োজিত হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা
সচেতনতামূলক একটি অ্যানিমেশন ছায়াছবি ও একটি প্রামাণ্যচিত্র উক্ত অনুষ্ঠানে দেখানো হয়।
শিশুদের জন্য একটি পাখি বিষয়ক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পরবর্তীতে আয়োজন করা হয়।
প্রথম তিনজন প্রতিযোগিকে প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
তাছাড়াও প্রতেক প্রতিযোগিকে রং পেন্সিল, চিত্রাংকন সামগ্রী ও খাবার প্রদান করা হয় শান্তনা পুরষ্কার হিসেবে।
এছাড়া আশেপাশের শিশুদের মাঝে লিফলেট ও ফ্লাইয়ার বিতরণ করা হয়।
পরিযায়ী পাখি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই আয়োজন।
বর্তমান বিশ্বে পরিযায়ী পাখির গুরুত্ব ও তাদের বর্তমান অবস্থা অনুষ্ঠানটিতে গৃহিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে উঠে আসে।
বর্তমান বিশ্বের জলবায়ু ও পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে।
এতে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস ও খাদ্য সংকট বাড়ছে, এতে পাখির প্রজনন ব্যাপকভাবে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।
পরিযায়ী পাখিরা এ কারণে সংখ্যায় দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
মূলত সকল স্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা ও পাখির নিরাপদ বিচরণের জন্যই এই দিবসটি আয়োজিত হয়। আয়োজকরা বলছেন যে, বিশ্বব্যাপী পরিযায়ী পাখি দিবসটি পালন হয়ে আসছে।
উল্লেখ থাকে যে, বাংলাদেশে প্রায় ২৫০-৩০০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়।
এরা পূর্ব এশীয়- অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইওয়ে ও সেন্ট্রাল এশিয়ান ফ্লাইওয়ে ব্যবহার করে।
এটা ব্যবহার করে ভারত, নেপাল, ভুটান, চীন, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ভ্রমণ করে পরিযায়ী পাখিরা।
আয়োজকেরা জানান যে, প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম গুরুত্ব বহন করে থাকে প্রতিটি পাখিদের পরিযায়ন।
সেই কারণে পরিযায়ী পাখির সুফল সম্পর্কে জানতে হবে।
তাদের পরিযায়ন যেন সুষ্ঠভাবে হয় সে দিকে নজর রাখতে হবে বলেন তারা।
নতুবা অচিরেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে বলে তারা জানান।
তাই আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রকৃতি ও প্রাণীদের রক্ষা ব্যাতীত অন্য কোন বিকল্প নেই।
পূর্ব এশীয়- অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইওয়ে পার্টনারশিপ, বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) ও প্রবর্তন ফাউন্ডেশন এর যৌথ সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ হয়।