বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষণায় অনন্য অবদান রেখে চলেছে। কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সর্বদা গবেষণা করে চলেছে বাকৃবির সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। কিন্তু বাংলাদেশে আরও গবেষণার প্রয়োজন। আর এজন্য প্রতিটি শিক্ষককেই গবেষণার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন সুনামধন্য জার্নালে এসব গবেষণা প্রকাশিত করার চেষ্টা করতে হবে। যা দেশের সুনাম অর্জনে ভূমিকা রাখবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই গবেষণা যেন প্রতিযোগীতামূলক অবস্থা তৈরি করতে পারে সেজন্যে চেষ্টা করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে বাকৃবির অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
তিনি আরও বলেন, লেকচারার পর্যায়ে যে সকল শিক্ষক রয়েছেন তাদেরও গবেষণার সুযোগ দিতে হবে। এতে করে গবেষণার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। এজন্যে প্রয়োজনে আমরা ইউজিসি থেকে বাকৃবির জন্যে গবেষণা ফান্ড বৃদ্ধিতে সহায়তা করবো। আমি আশা করি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের মাধ্যমে বাকৃবি গবেষণায় আরো এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) আয়োজনে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির গবেষনা প্রজেক্টের গতিবিধি ও কার্যকরি গবেষণা কিভাবে করা যায় এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ইতোমধ্যে চলতি বছরের বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রজেক্টে ফান্ডিং করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণার বিকল্প নেই। এসোসিয়েট প্রফেসরসহ লেকচারারদেও গবেষণার হাত মজবুত করার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এবং প্রতিটি গবেষণা কৃষকের দারগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। গবেষণার জাত সংরক্ষণের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেক গবেষককে দেশের কৃষির উন্নয়নের চিন্তা নিয়ে গবেষণা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খানের সভাপতিত্বে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদেও ডিন অধ্যাপক ড. এম. এ রহিম।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জয়নুল আবেদীন এবং ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।