দেশের কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ এর ফলে অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এমন মন্তব্য করেছেন। প্রতি বছর দেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মানুষ বাড়ে। তারই সাথে ২ লাখ একর কৃষিজমি কমে। এরপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছে এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি করছে বলে তিনি জানান।
গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তিন দিনব্যাপী কৃষিপ্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন হয়।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী জানান, গত ১০ বছরে আমাদের দেশে প্রায় ৯০ ভাগ কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে।
যার ফলে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি উপার্জন করা সম্ভব হয়েছে।
আগামী সময়ে রপ্তানি আয় আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এটি আয়োজন করে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এটি আয়োজিত হয়।
এতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামশেদুল আলম সভাপতিত্ব করেন।
তথ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনের ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য অভাবনীয়।
তিনি মনে করেন সারা পৃথিবীর জন্য একটি উদাহরণ।
আয়তনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৯২তম দেশ।
কিন্তু বাংলাদেশ ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে পৃথিবীতে তৃতীয়।
অন্যদিকে সবজি উৎপাদনে চতুর্থ ও আলু উৎপাদনে সপ্তম।
রাঙ্গুনিয়ায় অনেক কৃষিজমি পতিত থাকে উল্লেখ বলে তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তার মতে এসব পতিত কৃষিজমিতে শাকসবজিসহ বিভিন্ন প্রকারের কৃষিপণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
তিনি মনে করেন রাঙ্গুনিয়া থেকে সারা দেশে কিংবা সারা চট্টগ্রামে কৃষিপণ্য যাবে।
এমন বিষয়টা স্বাভাবিক হলেও বাস্তব চিত্র ঠিক তার উল্টো।
তাই আগামী শীত মৌসুম সামনে রেখে একটি পরিকল্পনা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীতে এখন সংকট চলছে।
একইভাবে পৃথিবীতে খাদ্যসংকটও তৈরি হয়েছেবলে উল্লেখ করেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; করোনা মহামারি এসব বিষয়ের উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আহ্বান কে স্মরণ করে বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।
এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দেব প্রসাদ চক্রবর্তী, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিবাকর দাশসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার।