কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের বছরে এক হাজার এক শত কোটি টাকা আয় হয়ে থাকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলসিএফইএ)।
মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সনদ জালিয়াতি ও মাত্রাতিরিক্ত ভেজালদ্রব্য মেশানোর দায়ে এই এক হাজার এক শত কোটি টাকা আয়ের উৎস জীবন্ত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করেছে চীন।
এ জালিয়াতির জন্য পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। দপ্তরের তরফ থেকে মৎস্য অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সুরমা সি ফুড, তমা এন্টারপ্রাইজ, ইকো ফ্রেশ ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স অর্কিড ট্রেডিং করপোরেশন এবং গাজী’স ড্রিমের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি ও মাত্রাতিরিক্ত ভেজালদ্রব্য মেশানোর জন্য চীন বাংলাদেশ থেকে জীবন্ত কাঁকড়া ও কুঁচিয়া আমদানি বন্ধ করেছে। এসব রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অসাধুতা ও জালিয়াতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি খাত নষ্ট হয়েছে। এ জন্য এসব মামলা দায়েরের অনুরোধ করেছে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তর।
বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলসিএফইএ) সূত্র জানিয়েছে, ‘কুঁচিয়া ও কাঁকড়ার প্রায় ৯০ শতাংশের রপ্তানি হয় চীনে। বাংলাদেশের তথাকথিত কিছু ব্যবসায়ীর কারণে চীনে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় কাঁকড়া ও কুঁচিয়া ব্যবসায় ধস নেমেছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মতে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে কুঁচিয়া উৎপাদিত হয়েছিল ১৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে আরও তিন হাজার টন বেড়েছিল।
দেশে কুঁচিয়ার মূলক্ষেত্র ছিল মুক্ত জলাশয়। এখন কুঁচিয়া বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। রপ্তানিকারকরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে কুঁচিয়া চাষ বেড়ে যাওয়ার মূলে ছিল চীনের চাহিদা। ওই বাজারের দিকে লক্ষ্য রেখেই কুঁচিয়া চাষ বেড়েছিল। বেড়েছিল কাঁকড়ার বাণিজ্যিক উৎপাদনও।