চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম পাড়া ও বাজারজাত শুরু করা না করা নিয়ে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও আমচাষি ও বাগান মালিকদের।
কৃষি বিভাগ ও আমচাষি এবং বাগান মালিকসহ সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় অনেক প্রতিনিধি আম পরিপক্ব না হওয়ায় আমপাড়া ও বাজারজাত শুরু করার পক্ষে নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
অনেক আম চাষি ও বাগান মালিক জানান ২৫ মে’র আগে অপরিপক্ব গোপালভোগ ও অন্যান্য আম পাড়া ও বাজারজাত করা শুরু হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন।
এখনো পরিপক্ব না হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোপালভোগসহ কোনো আমই ২৫ মে’র আগে বাজারজাত না করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আমচাষি ও বাগান মালিকদের সংগঠন ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দসহ আমচাষি ও বাগান মালিকরা।
তারা আরো জানান, ক্ষিরসাপাতি আম পরিপক্ব হতে অন্তত আরো ২০ দিন বাকি। আর গোপালভোগ ও কিছু গুঠি জাতের আম ২৫ মের আগে পাড়া শুরু হলেও থাকবে অপরিপক্ব। বাজারজাত করা হলে ভোক্তা আমের আসল স্বাদ থেকে হবেন বঞ্চিত। গত দুদিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে থানা ও উপজেলা প্রশাসন অপরিপক্ব আম এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী বাজারজাত করার চেষ্টা করলে ধ্বংস করে। এতে খুশি হন প্রকৃত বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এর দুদিন পরই শুক্রবার কানসাট রাজার বাগানে একটি গাছের আম জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আম পাড়া উদ্বোধন করার কথা জানান সংবাদকর্মী ও বাগান মালিকরা।
এতে করে চরম ক্ষোভে দানা বেঁধে উঠে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তবে ১ জুন থেকে আমপাড়া ও বাজারজাত করার পক্ষে বলে জানায় প্রশাসন।
বাগান মালিক ও আমচাষিরা জানান, একটি মহল ২/১ দিনের মধ্যে অপরিপলক্ব আম বাজারজাত করার সুবিধা নিতে প্রশাসনকে প্রভাবিত করছে বলে জানতে পেরেছি। একটি সুবিধাবাদী ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও ফড়িয়া প্রশাসনকে অযৌক্তিক কথা বলে আমপাড়া ও বাজারজাত করার যদি সুযোগ পেয়ে যায়, তবে তার পরদিন থেকেই অপরিপক্ব ক্ষিরসাপাত ও অন্যান্য আম পাঠাতে থাকবে এবং ভোক্তা তা খেলে আমের চরম বদনাম হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম ও বাজার প্রশাসনকে এমন ব্যক্তিদের কথা গুরুত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানান।