তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য দেশে তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে হবে। সরিষা চাষ বাড়ালে দাম নিয়ে সমস্যা হবে না। কৃষকরাও লাভবান হবেন। তাই ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের বিকল্প নেই।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. এম এম কামরুজ্জামান উপকূলীয় এলাকায় বিএআরআই উদ্ভাবিত সরিষার বিভিন্ন জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ের ওপর মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করলে দেশের কৃষিখাত বিরাট উপকৃত হবে। আমরা বছরে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল আমদানি করি। এজন্য অনেক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।
খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুনর রশিদের সভাপতিত্বে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের উলা গ্রামে গোপালগঞ্জ জেলার বিএআরআই-এর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হারুনর রশিদ বলেন, দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্য ও সব কৃষকের লাভজনক কৃষি উৎপাদনের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বারি ১৪, ১৫ ও ১৮। বিশেষ করে বারি সরিষা ১৮-এর মধ্যে ইউরাসিক এসিডের পরিমাণ একেবারেই কম থাকায় এটি মানব দেহের জন্য খুবই উৎকৃষ্টমানের তেল। তাছাড়া অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি এবং খৈলে গ্লোকোসিনুলেটর পরিমাণও ক্ষতিকর মাত্রার চেয়ে কম।
এমএলটি সাইট কয়রার বৈজ্ঞানিক সহকারী জাহিদ হাসানের পরিচালনায় মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন- বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুস্তাফা কামাল শাহাদাৎ ও মুশফিকুর রহমান, কয়রা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হারুন অর রশীদ ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সদরউদ্দীন আহমেদ, কৃষক ফজলুল সরদার, তপন মণ্ডল ও বিচিত্রা রানী। এ সময় মাঠ দিবসে দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।