Thursday, 25 September, 2025

গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল


নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা উপজেলার গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। এবার আগাম মুকুল আসলেও অনুকূল আবহাওয়ায় মুকুল নষ্ট হবার সম্ভাবনা কম। এবছর আমের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আম চাষিরা।

নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলাসহ আশে পাশের উপজেলা হতে উৎপাদিত সুমিষ্ট আম্রপালি, বারী-৪, হিমসাগর আম দেশের চাহিদা পূরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা যেতে পারে বলে মনে করছেন আম চাষিরা।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের মুকুলের পরিচর্যায় উকুননাশক এভোমেট্রিন ও ছত্রাকনাশক মেনকোজেভ বালাইনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলতি আম মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আমের ফলন প্রতি হেক্টরে আবারও ১৫ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

উপজেলার একাধিক আমচাষির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগানেই মুকুল দেখা যাবে। মুকুল যাতে ঝরে না পড়ে সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যবহার করছেন তারা। আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষিরা।

সাপাহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুজিবুর রহমান জানান, গতবছর এই উপজেলায় ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আম চাষ করা হয়েছিল। গত মৌসুমে আমের বাজার দর ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। থেমে নেই নতুন করে আমবাগান তৈরির কাজও। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৭৫০ হেক্টর জমিতে আম বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নতুন বাগানে এবার আম আসবে না।

0 comments on “গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ