Friday, 08 August, 2025

কোরিয়ান তেলবীজ ‘পেরিলা’ চাষ, হতে পারে লাভজনক


কোরিয়ান তেলবীজ ‘পেরিলা’ চাষ শুরু হয়েছে পাবনার সাঁথিয়ায়। সাঁথিয়া উপজেলার শহীদুল ইসলাম ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পাশে মাধপুরে এই প্রথম নতুন জাতের পেরিলা চাষ শুরু করেছেন। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ তেল বলে বাজারে পেরিলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এ ফসল চাষে চাষিরা ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন বলে।

এই ফসল চাষের জন্য উপযোগী সময় জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত।

প্রথমে চারা তৈরি করতে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগে।

আরো পড়ুন
ভেনামী চিংড়ি চাষে রোগের কারন, লক্ষন, প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ভেনামী চিংড়ি (Vannamei shrimp, Litopenaeus vannamei) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রোগবালাই এই চাষে অন্যতম Read more

বিদেশি আনারসের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য, নতুন দিগন্তের হাতছানি

দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে ফিলিপাইনের বিখ্যাত 'এমডি-২' জাতের আনারসের। কৃষি বিভাগ মনে করছে, এই Read more

ফসল সংগ্রহ করা যায় চারা লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে।

চাষি শহীদুল ইসলামের নতুন এ ফসলের প্রদর্শনী প্লট দেখতে আশেপাশের লোকজন প্রতিদিনই ভিড় করছেন।

আগামীতে পেরিলার বীজ পেলে স্থানীয় চাষিরা এর চাষাবাদ শুরু করতে আগ্রহী।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুসারে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম এম তারিক হোসেন।

তিনি ২০০৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সংগ্রহ করেন এই জাত।

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসৌ সাউথ কোরিয়ান ভ্যারাইটির সাউ পেরিলা-১ নামে জাতটির নিবন্ধন দেয় ফসল সংগ্রহ করা যায়।

তেলের এ জাতটি দেশের আবহাওয়ার উপযোগী।

পেরিলার বীজ থেকেও উৎপন্ন হয় ভোজ্যতেল।

পেরিলার আদি নিবাস চীন হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় এর ব্যাপক বিস্তৃতি রয়েছে।

এ কারণে বিশ্বে এটি কোরিয়ান পেরিলা নামে পরিচিত।

এই পেরিলার ফসলের সাথে বাংলাদেশের কৃষকরা এখনো খুব বেশি একটা পরিচিত নন।

বর্তমানে এর উৎপাদন নিয়ে চলছে নানা গবেষণা।

সরেজমিন দেখা যায় যে, সবুজ পেরিলা দেখতে অনেকটা শাক-সবজির বাগানের মতো।

এর প্রতিটি পাতা অনেকটা পান পাতার মতো সবুজ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান পুদিনা পাতার মত ঝাঝালো সুবাসের কারণেই ক্ষেতে পোকা মাকড়ের উপদ্রব নেই।

এ ফসলটি পোকা-মাকড় বিকর্ষক ফসল হিসেবে খ্যাত জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীব কুমার গোস্বামী।

তিনি জানান, পেরিলার ৩টি জাতের মধ্যে বাংলাদেশে কোরিয়ান পেরিলা নিয়ে গবেষণা করেছেন শেকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম তারিক হোসেন।

২০০৭ সালে শেকৃবিতে অল্প পরিসরে গবেষণা শুরু করেছিলেন তিনি।

বছরব্যাপী বিভিন্ন সময়ে পেরিলা চাষ করেছেন তারা যেন জানতে পারেন কোন সময়ে ভালো হয় ।

সঞ্জীব কুমার গোস্বামী জানান যে, জুলাইলের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর এ পর্যন্ত এ ফসল চাষ উপযোগী।

প্রথমে বেডে চারা তৈরিতে সময় লাগে চার সপ্তাহ।

৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করা যায়।

ফলে বছরজুড়ে একাধিক ফসল চাষ করা যায় একই জমিতে।

খরিপ-২ মৌসুমে চাষ হয় বলে এর আলাদা সেচের প্রয়োজন হয় না।

তবে একটানা বৃষ্টি না হলে হালকা সেচ দিতে হয়।

সঞ্জীব কুমার গোস্বামী েআরও জানান, পেরিলা অত্যন্ত উপকারী ভোজ্য তেল।

এতে থাকে শতকরা ৫০-৬৫ ভাগ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড।

হার্টের জন্য এটি খুব উপকারী।

0 comments on “কোরিয়ান তেলবীজ ‘পেরিলা’ চাষ, হতে পারে লাভজনক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ