সরকার কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেবে। ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষক পাবেন স্মার্ট কার্ড যা সরকারী প্রণোদনা গ্রহণকালে কৃষককে এ কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিতে সরকারের সার, বীজসহ যত ধরনের সুবিধা নেবার সময় এই স্মার্ট কার্ড দেখাতে হবে। সেসব সুবিধা পেতে কৃষক পাবেন স্মার্ট কার্ড, পাবেন সহজ সেবা।
একনেক সভায় এসকল প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় এ–সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট)’ শিরোনামের প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় আজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হবে ১০৭ কোটি টাকা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তৈরি স্মার্ট কার্ড পাবেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়সহ ১৪টি কৃষি অঞ্চলের ৯টি জেলা।
এগুলো হল গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বরিশাল, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বান্দরবান ও ময়মনসিংহ।
এই জেলা সমূহের সব উপজেলা এবং মেট্রোপলিটন এলাকার কৃষকদেরকে দেয়া হবে এ স্মার্ট কার্ড।
বাকি অঞ্চলের কৃষকদের পরবর্তী সময় এ সেবার আওতায় আনা হবে।
প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালে
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে কৃষকদের হাতে এখন একটি কাগুজে কার্ড রয়েছে।
কিন্তু কৃষকদের এই কার্ড ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সে কারণেই কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল প্রোফাইল তৈরি করা হবে ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষকের।
পরবর্তী ধাপে বাকি কৃষকদের কার্ড দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের প্রোফাইলও সাথে সাথে তৈরি করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪ সাল নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়, কৃষকের ডিজিটাল পরিচিতি হিসেবে স্মার্ট কৃষি কার্ড ব্যবহার হবে।
এতে প্রত্যেক কৃষকের জন্য এলাকা ও চাহিদাভিত্তিক কৃষিসেবা দেওয়া সহজ হবে।
অন্যদিকে ডিজিটাল বিশ্লেষণ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কৃষিতথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল কৃষি প্রোফাইল তৈরি সম্ভব হবে।
সেই সাথে স্মার্ট কৃষি কার্ড বিতরণ, ডিজিটাল কৃষিতথ্য বিশ্লেষণ ও তথ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।
এতে যে ডাটাবেজ তৈরি হবে তার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের সাহায্যে কৃষকের কৃষি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা গ্রহণ করাও সহজ হবে।
আজকের একনেক সভায় মোট ১১ টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
যার মোট ব্যয় ৩৭ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি জেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
সাথে রয়েছে ১ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ।
অপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হল ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিভুক্ত এলাকায় বর্জ্য অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা, সড়ক মেরামতে ব্যবহৃত আধুনিক যান–যন্ত্রপাতি সংগ্রহ প্রকল্প।