বাংলাদেশে একোয়াকালচার উৎপাদন এবং ভ্যালু চেইন পারফরম্যান্স মূল্যায়নে ডাটা এনুমারেটরদের জন্য খুলনার নিরালায় ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। সোমবার (৭ ডিসেম্বর) এক ওয়েবিনারের মাধ্যমে ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগ, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়ার্ল্ডফিশ এর যৌথ উদ্যোগে ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস’ প্রকল্পের আওতায় ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ইউএসএআইডি।
সাত দিন ব্যাপী কর্মশালায় ২০ জন ডাটা ইনোমারেটর অংশগ্রহণ করেন। ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে মৎস্য চাষীদের কাছ থেকে ডাটা সংগ্রহের জন্য প্রত্যেক ইনোমারেটরকে একটি করে ট্যাবলেট প্রদান করা হয়।
এসময় প্রকল্পের ইউএস প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (পিআই) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেলটন ওই প্রকল্পের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এছাড়াও প্রকল্পের পিএইচডি ফেলো হযরত আলী ফিল্ড টিমের ডিজিটাল ডাটা কালেকশন পদ্ধতি সম্পর্কে তুলে ধরেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর (বাংলাদেশ) ও বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিস’এর এশিয়া আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও বিএফআরআই এর সাবেক মহাপরিচালক ড. এম. গোলাম হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমইএল এর সিনিয়র বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের সহযোগি সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশ এর কো- প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. খন্দকার মোর্শেদ-ই-জাহান।
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো একোয়াকালচার ভ্যালু-চেইন ঘিরে উদীয়মান প্রযুক্তিসমূহ এবং উদ্ভাবনী অনুশীলনগুলি সনাক্ত করা, যা মাছের উত্পাদনশীলতা, সক্ষমতা, সহনশীলতা বৃদ্ধিতে চাষিদের সহায়তা করবে। প্রচলিত সরকারী পরিসংখ্যানের যথার্থতা আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং মাছের উত্পাদন, অর্থনৈতিক মূল্য এবং কর্মসংস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করতে জিওরফারেন্সড সার্ভের তথ্যের সাথে একীভূত করার জন্য উপগ্রহ চিত্র থেকে পুকুরের ডাটা সংগ্রহ স্বয়ংক্রিয় করতে মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করা হবে।
তারা আরও বলেন, একোয়াকালচারের আর্থ-সামাজিক এবং ভৌগোলিক বৈচিত্র্যের উপর আরো উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনা করার জন্য বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, এবং এর জন্য আরও বেশি উপযোগি পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করা।