সারাদেশের মত বরিশাল বিভাগেও মা ইলিশ রক্ষার অভিযান চলছে। এই অভিযানে গত সপ্তাহে ১৪১ জনকে ভ্রাম্যমান আদালত কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সাথে প্রায় ৪ লাখ টাকার কারেন্টজাল জব্দ করা হয়েছে বলে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, কেনা-বেচা ও বিনিময় নিষিদ্ধ।
প্রজননে যেন মা মাছ নির্বিঘ্নে ডিম পাড়তে পারে তার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫শে অক্টোবর পর্যন্ত।
সেদিন থেকেই বিভাগের ছয় জেলায় নিষেধাজ্ঞা পালন নিশ্চিতে চলছে অভিযান। ৩ তারিখ দিবাগত মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা পালন নিশ্চিতে কাজ শুরু করেন তারা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বিভাগে ২৮২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে।
৯ অক্টোবর পর্যন্ত বসানো হয় এই ভ্রাম্যমান আদালত।
এই আদালতের মাধ্যমে মোট অভিযান হয় ৭২১টি।
এসব ২ দশমিক ৫৯৪ টন ইলিশ অভিযান থেকে জব্দ করা হয়।
অভিযানে প্রায় ৪ লাখ টা্কার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
প্রশাসন ও আইনরশৃঙ্খলা বাহিনী ১৮ দশমিক ১৯৯ লাখ মিটারের কারেন্ট জাল জব্দ করে।
এসকল অভিযানে উপকূলীয় এলাকার তুলনায় বরিশাল নদী অঞ্চলে জেলেদের আটক করা হয়েছে বেশি।
এবং খুব বেশি জেলের কারাদণ্ড হয়েছে নদী অঞ্চলে।
এমনটাই জানিয়েছে মৎস বিভাগ সূত্র।
বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে ইলিশের আহরণ। নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্ত্বেও জেলেরা তা উপেক্ষা করে আহরণের চেষ্টা করছেন। এ কারণেই স্থানীয় প্রশাসন এবং ভ্রাম্যমান আদালত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসছেন জেলেদের।
এর মধ্যে একদিনেই ২৪ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বরিশাল জেলায়।
বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ১৪১ জনের কারাদণ্ড হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার।
তিনি জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের মৌসুম চলছে।
এই মৌসুমে কেউ মাছ ধরতে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও কঠিন করা হবে এ ব্যবস্থা।
তিনি আরও জানান যে তিনি মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তিনি হুশিয়ারি জানান যে কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে না।
এ ক্ষেত্রে কে কত ক্ষমতাবান হোন সেটা কোন ব্যাপার নয়।