Monday, 25 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

বিএফআরআই মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান ড.খলিলুর রহমান


বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট- বিএফআরআই মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. মো: খলিলুর রহমান।  দেশে পাঙাশ মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশলের উদ্ভাবক মৎস্যবিজ্ঞানী ড. মো. খলিলুর রহমান। এছাড়াও তার রয়েছে সাফল্যমন্ডিত ও সুদীর্ঘ কর্মজীবন।

বৃহস্পতিবার এ পদে নিয়োগ দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এই প্রজ্ঞাপনের পরই বিকেলে খলিলুর রহমান বিএফআরআই মহাপরিচালক পদে যোগদান করেন।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

ড. মো: খলিলুর রহমান মহাপরিচালক পদে যোগদানের পূর্বে তিনি বিএফআরআই-এর পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) পদে কর্মরত ছিলেন। এর পূর্বে তিনি ময়মনসিংহ জেলার স্বাদুপানি কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে এবং স্বাদুপানি উপকেন্দ্র যশোরের উপকেন্দ্র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ ছাড়াও ড. মো: কে. রহমান অ্যাকুয়া ড্রাগস ও হালদা নদী উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

খলিলুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে মাৎস্যবিজ্ঞানে ১৯৮৪ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৮৫ সালে একই স্থান থেকে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ১৯৯৪ সালে এফএও ফেলোশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন।  একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে ড. রহমান বিশ্বব্যাংক স্কলারশিপ নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. খলিলুর রহমানের গবেষণার মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো পাঙাশ মাছের কৃত্রিম প্রজনন করেন। একই সাথে তিনি পাঙাশ মাছ এর চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করেন।

বর্তমানে মৎস্যচাষিদের কাছে পাঙাশ চাষ তৃণমূল পর্যায়ে খুব জনপ্রিয়। এই লাভজনক প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পাঙাশ মাছের চাষ।

দেশি-বিদেশি জার্নালে তার প্রকাশিত আর্টিকেল রয়েছে। মোট আর্টিকেলের সংখ্যা ৭৪টি। তিনি বাস্তুসংস্থান নিয়ে ‘ইকোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অফ ইনল্যান্ড ওয়াটার অ্যান্ড ফিশারি রিসোর্স অফ বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি বই রচনা করেন। যা পাঠ্য ও রেফারেন্স বই হিসেবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহার হচ্ছে।

ড. খলিলুর রহমান কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় ১৯৬৩ সালের ২২ অক্টোবর কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার স্ত্রী ড. জুবাইদা নাসরীন আখতার দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৮৭ সালে খলিলুর রহমান বিএফআরআই-এর চাঁদপুর জেলার নদী কেন্দ্রে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

One comment on “বিএফআরআই মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান ড.খলিলুর রহমান

মতসব

স্যারের জন্য শুভকামনা । আমরা আশা করি স্যারের মাধ্যমে মৎস্য খাতে আরো সমৃদ্ধ আসবে।

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *