Sunday, 23 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

আলুর দরপতনে বিপাকে কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা


আলুর বাজার দর

আলুর দরপতনে বিপাকে কৃষক ও হিমাগার ব্যাবসায়ী। বিপাকে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরাও । গত বছর লাভ বেশি পেয়েছিলেন কৃষক। তাই এবার বেশি করে আলু চাষ করেছেন।

চাষের অনুপাতে ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও হোটেল বন্ধ ছিল। এতে বাজারে আলুর চাহিদা কমে যাবার ফলে হিমাগারগুলোতে সংরক্ষিত আলু অবিক্রিতই রয়ে গেছে।

জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে লাভের আশায় আলু মজুদ করে এখন বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন
পাবদা (Ompok pabda) মাছের লাভজনক চাষ পদ্ধতি

পাবদা মাছ (Ompok pabda) বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং লাভজনক একটি মাছ। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এবং চাহিদাও বেশি। সঠিকভাবে চাষ করলে Read more

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা
মাশরুম

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতার নজির গড়েছেন লক্ষ্মীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রবাস জীবন শেষ করে বাড়ির আঙিনায় মাশরুমের খামার গড়ে Read more

গত বছর করোনা ও বন্যায় অসহায় মানুষদের পাশে সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি অনেক মানুষ এগিয়ে আসে। সেই সকল ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে আলু ছিল অন্যতম। যার ফলে সে বছর ব্যবসায়ীরা আলুতে প্রচুর লাভ করেন। বেশি দামের আশায় চলতি বছরে অনেকে হিমাগারে আলু মজুদ করে রেখেছেন। কিন্তু বাজারে ভালো দাম না থাকার কারণে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে।

এ বছর হিমাগার খরচসহ প্রতি কেজিতে ১৮-২০ টাকা। আর বর্তমানে আলুর বিক্রিমূল্য  কেজিপ্রতি  ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায়। এতে প্রতি কেজিতে সাড়ে ৭-১০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই হিমাগারগুলোতে পাইকারি ব্যবসায়ী না যাওয়ায় জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টির পাশাপাশি আলু পচে নষ্টও হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ভালো দাম পাওয়ার আশায় ঋণ নিয়ে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন তারা। কিন্তু আলুর দাম কমে গেছে তাই আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

ব্যাবসায়ীরা জানান, গত বছর আলুর দাম বাড়ায় প্রশাসন থেকে বার বার দাম কমানোর জন্য এসেছে। কিন্তু এ বছর দাম না পেলেও কেউ আসে না, বা খবর নিচ্ছে না।

আলু ব্যবসায়ী ও কৃষকরা অস্বাভাবিক হারে গত বছর লাভ করেছেন। যার ফলে চলতি বছরে জেলায় আলু চাষের পরিমাণও বেড়েছে। অন্যদিকে বৃষ্টি ও বন্যায় বিভিন্ন শাকসবজি নষ্ট হয়নি এবছর। তাই আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি ও শাকসবজির বাম্পার ফলনে আলুর দাম কমেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৩০০ হেক্টর জমিতে এ বছর ২২ হাজার ৬১০ মেট্রিক টন আলুর উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ১৬৫ মেট্রিক টন, গোমস্তাপুরে ২৭৫ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন, শিবগঞ্জে ৪১০ হেক্টর জমিতে ৬ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন, নাচোলে ৩৫ হেক্টর জমিতে ৬৭৫ মেট্রিক টন ও ভোলাহাটে ২৪০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে।

বর্তমানে দেশ থেকে আলু বহির্বিশ্বে রফতানি হয় ২০ ভাগ। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রত্যাশা, আলুর বিভিন্নমুখী ব্যবহার ও রফতানি করাসহ খুব দ্রুত সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে। এতে কৃষকের হতাশা কিছুটা হলেও কমবে।

0 comments on “আলুর দরপতনে বিপাকে কৃষক ও ব্যাবসায়ীরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ