Monday, 29 December, 2025

কোয়েল পাখি (quail birds) পালন পদ্ধতি


কোয়েল পাখি পালন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, কারণ এটি অল্প জায়গায় এবং কম খরচে করা যায়। নিচে কোয়েল পাখি পালনের পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:

১. জায়গা নির্বাচন ও ঘর তৈরি:

    আরো পড়ুন
    আসন্ন রমজানে স্বস্তি: খেজুর আমদানিতে বড় শুল্ক ছাড় দিল সরকার
    খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমালো সরকার

    ঢাকা আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং বাজারদর সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে আমদানিতে বড় ধরনের শুল্ক Read more

    আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চিংড়ি রপ্তানির আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার
    আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চিংড়ি রপ্তানির আহ্বান মৎস্য উপদেষ্টার

    বাগেরহাট বাংলাদেশের চিংড়ির স্বাদ ও মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে স্বাস্থ্যবিধি ও পরিবেশসম্মত উৎপাদন পদ্ধতি অনুসরণের ওপর Read more

  • কোয়েল পাখির জন্য খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনা, ছাদ বা বারান্দায়ও পালন করা যায়।
  • মেঝেতে বা খাঁচায় পালন করা যায়। খাঁচায় পালন করলে পরিচ্ছন্ন রাখা সহজ।
  • বাচ্চা কোয়েলের জন্য ৭৫-১০০ বর্গ সেন্টিমিটার এবং বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১৫০ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা প্রয়োজন।
  • একটি ১২০x৬০x৩০ সেন্টিমিটার আকারের খাঁচায় ৫০টি বয়স্ক কোয়েল পালন করা যায়।
  • ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২. কোয়েলের জাত:

বাংলাদেশে সাধারণত ক্যালিফোর্নিয়া, বাটন, এবং জাপানিজ জাতের কোয়েল পালন করা হয়।

৩. বাচ্চা সংগ্রহ:

  • ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে অথবা সরাসরি হাঁস-মুরগির দোকান থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করা যায়।
  • বাচ্চা কেনার সময় সুস্থ ও সবল বাচ্চা দেখে কিনতে হবে।

৪. খাদ্য ও পানি:

  • কোয়েলের জন্য সুষম খাদ্য প্রয়োজন। বাজারে কোয়েল স্টার্টার, গ্রোয়ার ও ফিনিশার ফিড পাওয়া যায়।
  • ০-৪ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত স্টার্টার, ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রোয়ার এবং ৬ সপ্তাহের পর ফিনিশার ফিড দিতে হয়।
  • খাবারের পাশাপাশি পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।
  • দিনে ২-৩ বার খাবার দিতে হবে।

৫. যত্ন ও পরিচর্যা:

  • কোয়েলের ঘর বা খাঁচা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • ঘরের তাপমাত্রা ১৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হবে।
  • রোগ প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ডিমের জন্য কোয়েল পালন করলে, ডিম পাড়ার জন্য আলাদা জায়গা তৈরি করে দিতে হবে।

৬. রোগবালাই:

কোয়েলের কিছু সাধারণ রোগ হলো –

  • কোয়েল ডিজিজ (Ulcerative Enteritis): এটি একটি মারাত্মক রোগ, যা হলে দ্রুত পাখি মারা যায়।
  • কৃমি: এটি হলে পাখির ডিম উৎপাদন কমে যায় এবং পাখি দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • আমাশয়: অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে এটি হতে পারে।
  • চোখ ফোলা: অ্যামোনিয়া গ্যাসের কারণে এটি হয়।

৭. লাভ:

কোয়েল পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। কারণ –

  • কম সময়ে বেশি উৎপাদন।
  • কম খরচ ও কম জায়গা প্রয়োজন।
  • ডিম ও মাংসের ভালো বাজার চাহিদা।

কিছু অতিরিক্ত টিপস:

  • কোয়েল পাখির ঘর উঁচু স্থানে তৈরি করতে হবে যাতে বৃষ্টির পানি না জমে।
  • খাঁচার চারপাশে নেট লাগাতে হবে যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে।
  • কোয়েল উড়তে পারে, তাই খাঁচার উপর ঢাকনা দিতে হবে।
  • ডিমের জন্য কোয়েল পালন করলে, আলো ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

কোয়েল পালন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস বা অভিজ্ঞ কোয়েল পালনকারীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

0 comments on “কোয়েল পাখি (quail birds) পালন পদ্ধতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ