Saturday, 31 May, 2025

সর্বাধিক পঠিত

জিলাপির মত দেখতে জিলাপি-ফল, বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময়


আমাদের দেশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে এমন ফলের কিছু কিছু পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশে যে ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। আমাদের দেশে রয়েছে এমন অনেক বিচিত্র ফল। জিলাপি ফল সে রকম একটি বিচিত্র ফলের নাম।  জিলাপির মত দেখতে জিলাপি-ফল, প্যাচানো। এরকম আকৃতি বলেই একে জিলাপি ফল নামে ডাকা হয়। কেউ কেউ আবার এটিকে বিভিন্ন নামে ডাকেন। কেউ বলেন, খৈ ফল, আবার অঞ্চল ভেদে অনেকেই খইয়ের বাবলা বা দখিনী বাবুল বলেও ডাকে।

কিন্তু সময়ের বিবর্তনে মাগুরা থেকে এই ফলটি হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের মানুষের অনেকেই এখন আর চেনে না ফলটি। সাঁতত্রিশ গ্রামের এক কৃষক জানান, ইটভাটার মালিকেরা ভাটার খড়ি হিসেবে গাছটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন গত কয়েক দশক ধরে। যার ফলে দিন দিন এসব এলাকা এ গাছগুলো থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

জিলাপি ফলের পরিচিতি

আরো পড়ুন
চীনা বাজারে বাংলাদেশের আমের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ: রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত

অবশেষে চীনের বাজারে বাংলাদেশের আম রপ্তানি শুরু হলো। গতকাল (বুধবার) দুপুরে ১০ টন আমের একটি চালান চীনের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। Read more

“চাষ করে মাছ বড় করা যায়, সৃষ্টি করা নয়”- উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “চাষিরা মাছ বড় করতে পারেন, কিন্তু মাছ সৃষ্টি করতে পারেন না। প্রকৃতির Read more

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ রোকনুজ্জামান বলেন, জিলাপি গাছ এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম পিথেসেলোবিয়ামে ডুলসি। গ্রিক পিথেসেলোবিয়ামের অর্থ বানরের ফল। আর লাতিন শব্দ ডুলসি মানে মিষ্টি। এই ফল দু’টি খোসার মধ্যে গোলাকারভাবে মালার মতো শাঁস ও বীজ  সাজানো থাকে।

প্রতিটি ফলে আট থেকে ১০টি বীজদানা থাকে। এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে। কিন্তু পাকলে এর খোসা টকটকে লাল হয়ে ফেটে যায়।

ভেতরের সাদা শাঁস অনেক বেশি পেকে গেলে অনেক সময় তাতে লাল দাগ পড়ে। এর বীজ দেখতে শিমের বীজের মতো।  এই বীজের রং অনেকটা কালো। এই ফল এর শাঁস পুরু, মিষ্টি, নরম ও কস। এই ফলগাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা লম্বা, এলোমেলো। এর বাকল ধূসর এবং তীক্ষ্ণ কাঁটাযুক্ত, পাতা সবুজ এবং জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত থাকে। আকৃতিতে এ গাছের ফুল বেশ ছোট হয়।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন সুশান্ত কুমার প্রামানিক।তিনি জানান, ফাল্গুনে ফোটে এর ফুল। চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এই ফল পেকে যায়। বীজ থেকে সহজে জিলাপি ফলের চারা হয়। তবে গাছের বংশবৃদ্ধির জন্য এর শাখা কলমও ব্যবহার করা যায়।

এ গাছ প্রধানত ফিলিপাইনে ফলের জন্য বাণিজ্যিকভাবে আবাদ করা হয়। প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের দেশে এই ফল এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে কেউ কেউ শখ করে বাড়ির চার দিকে বা রাস্তার পাশে এ ফলের গাছ লাগাতেন। তবে   এখন আর গাছটি আগের মতো চোখে পড়ে না বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।

0 comments on “জিলাপির মত দেখতে জিলাপি-ফল, বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ