Friday, 08 August, 2025

আগাম ‘অটো’ জাতের শিম চাষে লাভবান কৃষকেরা, ফুটছে মুখে হাসি


জীবনযাত্রা থমকে গেছে করোনার প্রকোপে। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন জমিতে এমন অসময়ে আগাম ‘অটো’ জাতের শিম চাষ করেছেন চাষিরা। প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ করেছে চাষিরা।  আশানুরূপ ফলন না হলেও বাজার দরে খুশি চাষিরা।

অনেক চাষি এরমধ্যে বিক্রি করে চাষের খরচ তুলে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। এতে বদলে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতির বর্তমান চিত্র। শিমের পরিচর্যা এবং বিক্রির মধ্যে আগামী ৬ মাস কেটে যাবে শিম চাষিদের।

আগাম ‘অটো’ জাতের শিম চাষ

আরো পড়ুন
ভেনামী চিংড়ি চাষে রোগের কারন, লক্ষন, প্রতিকার এবং চিকিৎসা

ভেনামী চিংড়ি (Vannamei shrimp, Litopenaeus vannamei) চাষ বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রোগবালাই এই চাষে অন্যতম Read more

বিদেশি আনারসের পরীক্ষামূলক চাষে সাফল্য, নতুন দিগন্তের হাতছানি

দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে ফিলিপাইনের বিখ্যাত 'এমডি-২' জাতের আনারসের। কৃষি বিভাগ মনে করছে, এই Read more

চাষিদের মতে, অনুকূল পরিবেশ থাকলে আর্থিকভাবে প্রত্যাশার চাইতেও বেশি লাভবান হয়তো হবেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট জমির পরিমাণ ৯৭,৫৮২ হেক্টর। যেখানে আবাদযোগ্য জমি ৭ হাজার হেক্টর।

এই জেলায় ভুট্টা আবাদের পরপরই সবজির আবাদ বেশি হয়ে থাকে। আবহাওয়া তুলনামূলক অনুকূল এ অঞ্চলে। উঁচু সমতল জমি হওয়ার ফলে জমিগুলো সবজি চাষের জন্য উপযোগী। এতে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রকার আগাম সবজির চাষ করে থাকেন জেলার কৃষকরা।

চলতি বছর বৃষ্টিপাত একটানা হয়নি। থেমে থেমে বৃষ্টি হবার দরুন অসময়ে শিমের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। এতে যদিও ফলন বেশি হয়নি কিন্তু বাজার দর ভালো থাকায় এবং স্বল্প সময়ে সবজি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারায় সকলেই খুশি।  এলাকায় এই শিম চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

৪-৫ ফুট উচু বাঁশের মাচা তৈরি করে আবাদ করা হয়েছে এই উচ্চ ফলনশীল অটো জাতের শিম।

বর্তমান আবহাওয়ায় শিমের ফলন বেশি নয়। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি শিম ১১৫ টাকা থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

আগ্রহী হয়ে অনেক চাষি শিম চাষ করেছে। আগামি ৬ মাস আবাদি শিম চাষের মধ্যে সময় কাটবে। কেউ কেউ শিম বিক্রি করে বছরে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন এবং অনেকেই শিম চাষেই জীবন-জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন।

কৃষকরা জানান  এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করতে বীজ, সার, বাঁশ, তার, শ্রমিক ও সেচ হিসেব করে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

দুই মাসের মাথায় শিম ধরা শুরু করে। উৎপাদিত শিম বাজারজাত করতে অন্য কোন স্থানে যাবার প্রয়োজন হয় না। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ক্রেতারা এসে শিম কিনে নিয়ে যায়। আবার কেউ কেউ শিম নিজে তুলে পার্শ্ববর্তী বাজারে বিক্রি করে থাকেন।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এই অঞ্চলের জমি সবজি চাষের জন্য খুবই উপোযোগী। ভুট্টার চাষের পরপরই শিমসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির হয়ে থাকে।

তিনি আরও জানান কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব রকমের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে। স্থানীয় লোকজনের প্রদত্থ নাম অটো জাতের শিম । শিম মূলত শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে সারাবছর এর চাষাবাদ হচ্ছে।

2 comments on “আগাম ‘অটো’ জাতের শিম চাষে লাভবান কৃষকেরা, ফুটছে মুখে হাসি

Md

শিম বীজ পাওয়া যাবে কি

Reply
এগ্রোবিডি২৪

আপনার নিকটস্থ নার্সারিতে যোগাযোগ করলে হয়তো পাবেন। আমরা এখনও প্রোডাক্ট বিক্রি করি না।

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ